ওয়েব ডেস্ক: মায়াপুরে হোটেলের ঘরে তিন ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের। শেষ অবস্থায় কাতর ফোন বর্ধমানের বাড়িতে।  পুলিসের চেষ্টায় হোটেলের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার চারজনই। ব্যবসায় লোকসানের জেরেই চরম সিদ্ধান্ত, দাবি পরিবারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোরের আলো না ফুটতেই, বর্ধমানের বাড়ি ছেড়ে ছিলেন বৃদ্ধা নমিতা নাগ। সঙ্গে তিন ছেলে। ছেলে পুত্রবধূকে জানিয়ে যায়, জরুরি প্রয়োজন। কলকাতায় পিসির বাড়ি যেতে হবে। তারপর সারাদিন আর যোগাযোগ নেই। সন্ধেয় হঠাত্ই ফোন।


রীতিমতো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে খেয়ালি, ঝুমাদের। তাঁরা খবর দেন অন্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের। বর্ধমানে পুলিসের দ্বারস্থ হয় নাগ পরিবার। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় নদিয়া পুলিসের সঙ্গে। মায়াপুরের হোটেলে খোঁজ চালিয়ে ৪ জনকে উদ্ধার করে পুলিস। চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগরের হাসপাতালে।


পীরবাহারামে বড় বাড়ি, নতুনগঞ্জ বাজারে দোকান। হাসিখুশি পরিবার। সেখানে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন নমিতা নাগ ও তাঁর তিন ছেলে? বর্ধমানের নতুনগঞ্জ বাজারে পাইকারি আর খুচরো ডিমের ব্যবসা নাগেদের। তিন ছেলে হরিদাস, দেবদাস আর সৌমেন, এই ব্যবসায় যুক্ত। পরিবারের দাবি, ইদানিং লোকসানে চলছিল ব্যবসা। কিন্তু আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে স্ত্রী সন্তানদের ফেলে রেখে তিনভাইয়ের, এমন সিদ্ধান্ত ! ভাবতে পারছেন না কেউই। (আরও পড়ুন- মহিষবাথানে আত্মঘাতী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, আতস কাঁচের নীচে সম্পর্কের টানাপোড়েন)