নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবধান মাত্র ২৪ ঘণ্টার। পুরুষদের পোশাক ফতোয়া বদলে গেল মহিলাদের কাজ দেওয়ার বিজ্ঞাপনে! বিতর্কের মুখে শেষপর্যন্ত পিছু হটল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কর্তৃপক্ষ। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম অবশ্য বললেন, 'শুধু পুরসভাই নয়, যেকোনও অফিসেই শালীন পোশাক পরে ঢোকা উচিত'। পুরসভার কার্যালয়ের সামনে কারা পোস্টার লাগিয়েছিল? সদুত্তর মেলেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? আলাদা করে পুরুষদের কথা বলা হয়নি ঠিকই। তবে, গতকাল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কার্যালয়ের সামনে পোস্টার লাগানো হয়েছিল, 'অশোভনীয় বা দৃষ্টিকটু পোশাক পরে পুরসভায় প্রবেশ নিষেধ'! বস্তুত, যাঁরা বার্মুন্ডা বা হাফপ্য়ান্ট পরে যাঁরা আসছিলেন, তাঁদের গেট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জানা গিয়েছে,  সম্প্রতি বার্মুন্ডা, এমনকি হাফ প্যান্ট পরেই পুরসভার কার্যালয়ে চলে আসছিলেন বেশ কিছু মানুষ। অনেকে আবার ওই অবস্থায় চেয়ারের উপর পা তুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও থাকছিলেন। ফলে স্রেফ পুরকর্মীরাই নন, সাধারণ নাগরিক বিশেষ করে মহিলাদের অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল। সেকারণেই এই ফতোয়া।


আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে 'ফতোয়া' উপাচার্যের, পদত্যাগ শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের


এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই জমে ওঠে বিতর্ক। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি  সুনীপ দাস বলেছিলেন, 'পুরসভা কর্তৃপক্ষ এ ভাবে পোষাক ফতোয়া দিতে পারেন না, তালিবানিরা এমন ফতোয়া দেয়। বরং পুরসভা নিজের কাজটা ঠিক করে করুক। কীভাবে জমা জল বার করা যায়, এলাকার উন্নয়ন করা যায় সেদিকে নজর দিক।' বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় বিদ্রুপ করেছিলেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাসও। তাঁর কথায়,  'এমন কিছু পোশাক না পরেই আসা উচিত যা দৃষ্টি কটু লাগে। আগামীদিনে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজপুর সোনারপুর বাজার অফিস এমন উদ্যোগ নিয়েছে'। কিন্তু ঘটনা হল,  বিতর্কের মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছবিটা বদলে গেল। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)