North Bengal Tourism: ধস এড়িয়ে দার্জিলিং-সিকিম যেতে চান ঘোর বর্ষাতেও? জেনে নিন অল্টারনেটিভ রুট, খরচও
পাহাড়ে বর্ষায় বেড়াতে যেতে গেলে চিরাচরিত পথ এড়িয়ে, ধসপ্রবণ সড়ক এড়িয়ে কী ভাবে তুলনামূলক ভাবে নিরাপদে নিজের গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, সেটা জানার একটা আগ্রহ পর্যটদের থাকেই।
সৌমিত্র সেন
বর্ষায় দার্জিলিং বেড়াতে গেলে পাগলাঝোরায় ধসের মুখোমুখি হননি, এমন পর্যটক পাওয়া দুষ্কর। বর্ষার পাহাড়ে এ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ ছাড়াও তাকদা অঞ্চলেও ধস নামে। ধস নামে সিকিম এবং কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায়, কালিঝোরায়। এদিকে পর্যটকেরা বর্ষাতেও পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে চান। ফলে ধস নামলেও রাস্তা বন্ধ হলেও তাঁদের উৎসাহে ভাটা পড়ে না। এদিকে পৌঁছে গিয়ে নামবার সময়ে বা পাহাড়ে ঢোকার সময়েও তাঁরা নানা ভাবে নাজেহাল হন।
ফলে, পাহাড়ে বর্ষায় বেড়াতে যেতে গেলে চিরাচরিত পথ এড়িয়ে, ধসপ্রবণ সড়ক এড়িয়ে কী ভাবে তুলনামূলক ভাবে নিরাপদে নিজের গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, সেটা জানার একটা আগ্রহ পর্যটদের থাকেই।
বিষয়ে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল প্রশ্ন করেছিল 'হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক'-এর জেনারেল সেক্রেটারি সম্রাট সান্যালকে। তিনি খুব সুন্দর করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন। সম্রাট বললেন, 'বর্ষায় পর্যটকদের অসুবিধা হওয়ার কথাই নয়, কেননা উত্তরবঙ্গের পাহাড়-অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মাল্টিপল ইনার রোড। এর মধ্যে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য রয়েছে অন্তত দুটি বিকল্প পথ। শিলিগুড়ি হয়ে রোহিণী রোড হয়ে ভায়া কার্শিয়াং জোড়বাংলা, সেখান থেকে সিকিম। আর একটি পথ হল-- ডুয়ার্স-গরুবাথান হয়ে লাভা হয়ে সিকিম। এ দুটি পথে ধসের ভয় কম। আর ঘুরে যেতে হয় বলে ভাড়াও যে খুব বেশি পড়ে তা-ও নয়; মোটামুটি ১৫০০ টাকার মধ্যেই থাকে।' সম্রাট আরও বলেন, 'আর ধস এড়িয়ে নিরাপদে দার্জিলিং পৌঁছনোর জন্য রয়েছে ৩টি পথ। সাধারণ পর্যটকেরা এনএইচ ৫৫ ধরে রোহিণী রোড হয়ে দার্জিলিং পৌঁছন। এই পথটি বাদ দিলে পড়ে থাকে এনএইচ ১০ হয়ে মংপু হয়ে দার্জিলিং; এনএইচ ১০ হয়ে পেশক হয়ে দার্জিলিং; শিলিগুড়ি থেকে পাঙ্খাবাড়ি হয়ে দার্জিলিং বা শিলিগুড়ি থেকে ভায়া মিরিক দার্জিলিং। এই তিন রুটের মধ্যে একমাত্র মিরিক রুটে গেলে ভাড়া একটু বেশি পড়ে; না হলে ৭০০-৮০০ টাকাতেই গাড়ি বুক করা যায়; ২০০-২৫০ টাকা জনপ্রতি পড়ে।'
সম্রাটবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বর্ষায় কি উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও অঞ্চল পর্যটকদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত?
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'একেবারেই নয়। একমাত্র উত্তর সিকিমটা এড়ানো গেলে ভালো। বাকিটা একেবারে নিরাপদ।' তবে তিনি বর্ষায় পাহাড়-পর্যটকদের একটি জরুরি পরামর্শ দেন। তিনি জানান, বর্ষায় পাহাড় ঘুরতে এলে তাঁরা যেন একটু বেশি সময় হাতে নিয়ে আসনে। তাতে ঘোরাটাও যেমন মনোরম ও উপভোগ্য হবে, তেমনই ঘটনাচক্রে কোনও প্রাকৃতিক বিপত্তি ঘটলে সেটা সামলে নেওয়ার জন্য হাতে যথেষ্ট সময়ও থাকবে।
আরও পড়ুন: Dhumavati Jayanti: জানেন কি ধূমাবতী জয়ন্তীতে দেবী ধূমাবতীর উপাসনায় কী ফললাভ হয় ভক্তের?