বর্ষবরণের রাতে বন্ধুর বাড়ির পার্টিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে `খুন’ যুবক
বাপ্পারা একটি ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। পাশের ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। তাঁরাও তোতনের পরিবারের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পান বাপ্পার স্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ষবরণের রাতে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে পার্টিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ। আগরপাড়ায় মদের আসরে যুবক খুন। গুলি করে খুন করা হল বাপ্পা নামে এক যুবককে।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে উন্মাদনার মাসুল, বাইক রেস করতে গিয়ে মৃত্যু
সূত্রের খবর, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ বাপ্পা রবিবার রাতে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে বন্ধু শান্তনু রায়চৌধুরী ওরফে তোতনের প্রফুল্লপল্লির বাড়িতে বসে মদের আসর। বাপ্পারা একটি ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। পাশের ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। তাঁরাও তোতনের পরিবারের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পান বাপ্পার স্ত্রী। তিনি দৌড়ে পাশের ঘরে আসতে গেলে, তাঁকে বাধা দেন শান্তনু ওরফে তোতন। পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় শান্তনু। দোতলায় উঠে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাপ্পার স্ত্রী পিয়ালী বোস।
থানায় শান্তনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: বাইক দুর্ঘটনা, বছরের প্রথম দিনই ধুন্ধুমার পার্ক সার্কাস ৪ নং ব্রিজে
কিন্তু কেন এই খুন?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তোতনের সঙ্গে বাপ্পা আগে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। অভিযোগ, মদ খাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে তোতন বাপ্পা কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। সেই টাকা আর শোধ করতেন না তোতন। এই নিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে বচসা হয় একাধিকবার। গত দুতিন বছর ধরেই এই কারণেই তোতনের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন বাপ্পা। কিন্তু রবিবার রাতে হঠাত্ই বাপ্পাকে ফোন করে সপরিবারের বাড়িতে ডেকে পাঠান তোতন। তারপরই এই ঘটনা। হঠাত্ এতদিন পর কেন বাপ্পাকে ডাকেন তোতন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁর স্ত্রীও। আপাতত, ফেরার তোতনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।