শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: একুশের বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি ছেড়েছেন। সঙ্গে সাংসদ পদও। আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে বাবুল সুপ্রিয়। এই প্রথম। জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রাক্তন সাংসদ বললেন, 'গত ৮ বছর ধরে আসানসোলের সঙ্গে মানসিকভাবে জড়িয়েছিলাম। আজও জড়িয়ে আছি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৪ পর ফের ২০১৯। পরপর দু'বার আসানসোল থেকে বিজেপি-র টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। মোদী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের পর যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হয়, তখন মন্ত্রিত্ব খোয়ান আসানসোলের তৎকালীন সাংসদ। এরপর রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বাবুল। বোঝানোর চেষ্টা করেও তাঁকে আর দলে ধরে রাখতে পারেননি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।  তৃণমূলে যোগ দেন মোদীর সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এখন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।  


আরও পড়ুন: Mamata In Asansol: তিস্তা আর জুবেরকে গ্রেফতার করা হল কেন? আসানসোলে বিজেপিকে তোপ মমতার


আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শক্রঘ্ন সিনহা। এদিন শহরে পোলো গ্রাউন্ডে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বললেন, 'এই পোলো গ্রাউন্ডে কোনও একসময়ে মোদিজি বলেছিলেন, পার্লামেন্টে বাবুল কো চাহিয়ে। আমি  দু'বার জিতেছি। আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। ৮ বছরে কেন একজন বাঙালি ক্যাবিনেটে জায়গা পায় না'? সঙ্গে যোগ করলেন, 'যাঁরা হাত তোলা পার্টি, কোনও ক্ষেত্রে অসম্মতি হলেও বলবে না, এটা ঠিক হচ্ছে না, ভোটের আগে তাঁদের বলেছিলাম, আসানসোলে যে রাজনীতিটা করতে চাইছেন, সেটা চলবে না। তাই হয়েছে'।


আরও পড়ুন: Mamata On Nupur Sharma: ওকে সমন পাঠিয়েছি; আমরা ছাড়ব না, নাম না করে নূপুর শর্মাকে হুঁশিয়ারি মমতার


আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এখন তৃণমূলের দখলে। বাবুল সুপ্রিয় জানালেন, 'আমি সাংসদ পদ ছাড়ার সময়ে এ বছরে মার্চ মাস পর্যন্ত আমার ৫ কোটি টাকার যে কাজ ছিল, সবটা দিয়ে গিয়েছিলাম। সব কাজ হচ্ছে। যে চারটে কাজ হচ্ছে, তার জায়গায় অন্য কাজ দিয়ে গিয়েছিল। এতটাই জড়িয়ে আছি, পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে। শক্রঘ্নজিকেও অবগত করছি। দিদির নেতৃত্বে দু'জনে একসঙ্গে কাজ করব'।