নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের ছাত্রকে ‘তাঁর দেশে ফেরত পাঠানো’ হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান নামে ওই ছাত্র। তাঁর দাবি, মুসলিম বলেই তাঁর সম্পর্কে ওইসব কথা বলা হয়েছে। এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বাবুলকে। মুস্তাফিজুর রহমানের দাবি উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কোনও মুর্খের দাবি মেনে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। জানিয়ে দিলেন বাবুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য গত ২৬ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উত্সবে নাগরিকত্ব আইনের কপি ছিঁড়ে ফেলেন ছাত্রী দেবস্মিতা চৌধুরি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত  ছাত্রীর শিক্ষা নিয়ে মন্তব্য করেন বাবুল সুপ্রিয়। তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়ে যায়।


আরও পড়ুন-পার্ক স্ট্রিটে চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানি, নেমেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী


বাবুল সুপ্রিয়র ওই মন্তব্যবের পরদিনই তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে বসেন বীরভূমের ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি লেখেন, আপনাদের সভাপতি যিনি গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান তাঁর ও আপনার শিক্ষা সম্পর্কে খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়।



উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  এক সভায় তিনি বলেন, আমাদের দেশি গরুর এক বিশেষ গুণ রয়েছে।  এদের দুধের সঙ্গে সোনা মিশে থাকে। তাই দেশি গরুর দুধ সোনালি হয়। গরুর দেহে এমন কিছু গ্রন্থি রয়েছে যা সূর্যের আলোর সাহায্যে সোনা তৈরি করতে পারে।


এদিকে, মুস্তাফিজুরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে লেখেন, ‘মুস্তাফিজুর, আগে তোমাকে তোমার দেশে পাঠাই তারপর পোস্ট কার্ডে তোমার প্রশ্নের উত্তর দেব।’  বাবুলের ওই মন্তব্যে রাজ্যে চরম বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এরপর মুস্তাফিজুর একিট ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করেন, মুসলিম বলেই আমাকে এভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমি ভারতের নাগরিক। বাবুল সুপ্রিম একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উনি কীভাবে এরকম মন্তব্য করতে পারেন! ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।  সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাস করেন এখানে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র তাঁর ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।


আরও পড়ুন-'বিবিধের মাঝে মহান-মিলন, স্বভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'ARTH- A Cultural Fest'


শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন বাবুল সুপ্রিয়।  তিনি বলেন, মুস্তাফিজুর যা বলতে চান তা বলতেই পারতেন। কিন্তু উনি ওঁর মন্তব্যের সঙ্গে খোঁচা দিয়ে দেন। মুর্খরা আমার কথা বুঝতে পারবে না। আমার মন্তব্যে সঙ্গে হিন্দু-মুসলিমের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও মুর্খকে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।