নিজস্ব প্রতিবেদন: যেন মরণফাঁদ। অনেক জায়গায় পিচের প্রলেপ উঠে গিয়েছে। কিছু জায়গায় দু’পা অন্তর ছোট-বড় গর্ত। এ কোনও সাধারণ রাস্তা নয়, এ ছবি জাতীয় সড়কের। যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে  ২ নম্বর জাতীয় সড়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা থেকে আসানসোল পর্যন্ত রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতা ও আসানসোলমুখী দুই লেনের অবস্থা একেবারে  ভয়াবহ। প্রতি পদে লুকিয়ে আছে বিপদের হাতছানি। যে রাস্তা দিয়ে মসৃণভাবে দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা,  সেখানে পদে-পদে ব্রেক কষতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা। ফলে, দুর্ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে প্রাণহানিও।
গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে। মাঝপথে গাড়ি বিকল হয়ে চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াছে রাতে। বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই, বলছেন ভুক্তভোগীরা।  রাস্তায় গর্তে পড়ে মোটরবাইক নিয়ে ছিটকে পড়ে জখম এতো আকচার লেগে আছে জাতীয় সড়কে।


এই রাস্তায় দুর্গাপুরের বাঁশকোপা,  মেমারির পালশিট ও হুগলির ডানকুনিতে ‘টোল’ আদায় করা হয়। তার পরেও কেন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে,  প্রশ্ন যাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, সড়কের কলকাতামুখী লেনের অবস্থা সবথেকে বেশি খারাপ।


পূর্ব বর্ধমানের  জেলাশাসক বিজয় ভারতী রাস্তার হাল ফেরাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের (এনএইচএআই) সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় সড়কের এই অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসও। শুধু রাস্তা নয়, পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল মোড়, কাদা রোড মোড়,  ভিড়িঙ্গি মোড়,  রাজবাঁধ,  কাঁকসা-সহ নানা জায়গায় ‘সার্ভিস রোড’ বেহাল,  উড়ালপুলগুলি উপযুক্ত নিকাশির অভাবে জলে থইথই করছে, আগাছায় ভরে গিয়েছে।তবু চূড়ান্ত উদাসীন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে প্রতারণা, কাঠগড়ায় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা


 কয়েকমাস আগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের  সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু বর্ষা নামতেই পুরনো চেহারা ফিরে এসেছে। ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।