Paschim Medinipur: ১ম পুরস্কার `মৃত্যু`, ২য় `আজীবন শয্যাশায়ী`, ৩য় `কোনও রকমে বেঁচে থাকা`! কোথায় কোন ইভেন্টে এমন ঘোষণা?
Paschim Medinipur: যোগাযোগের একমাত্র ভরসা কাঠের সাঁকো। সেই সাঁকো বর্তমানে বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এবার তাঁরা করলেন এক আশ্চর্য কাণ্ড।
চম্পক দত্ত: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ব্লকের বান্দিপুর ১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী এলাকায় শিলাবতী নদীর উপর দীর্ঘ দিন যাবৎ রয়েছে কাঠের পাটাতনে তৈরি এক সাঁকো। আশপাশের প্রায় ৩০ টি গ্ৰামের মানুষজন নিত্যদিন যাতায়াত করেন এই সাঁকো দিয়ে।
কিন্তু সাঁকোটি বর্তমানে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাঁকোর মধ্যে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। যে কোনও সময় কোনও পাটাতন সরে যেতে পারে, পা গলে যেতে পারে। ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। বহু মানুষ এই সাঁকো পারাপারের সময় সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। সাঁকোটি সারানো হচ্ছে না কেন? কেন নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে না?
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও মেলেনি কোন সুরাহা। গ্ৰামবসীরা বলেন কিছু দিন আগেও এলাকার এক যুবক ভাঙা এই সাঁকো থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওড়িশার কটকে তিনি চিকিৎসাধীন।
এই পরিস্থিতিতে আজ এলাকার কিছু মানুষ হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই সাঁকোটিকে 'রাজ্য ডিয়ার লটারি'র সঙ্গে তুলনা করে এর নামকরণ তাঁরা করেন-- 'রাজ্য ডিয়ার লটারি সেতু'! পোস্টারের মাধ্যমে ডিয়ার লটারির সঙ্গে সাঁকোটিকে তুলনা করতে গিয়ে প্রথম পুরস্কারটিকে মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, দ্বিতীয়টি আজীবন শয্যাশায়ী এবং তৃতীয় পুরস্কার বহু অর্থ ব্যয়ে কোনও রকমে বেঁচে থাকা।
এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনে এবার কংক্রিটের ব্রিজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বন্যার সময়ে বেশ কয়েকবার সাঁকো এক দিকে হেলে পড়ে এবং বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থাতেই থেকে যায়। এবার এর একটা স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার মানুষজন।