Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চ তৈরির জমি দিলেন সম্রাট শাজাহান! ৪০০ বছরের মিথ ও ইতিহাস...
Bandel Church: ক্রিসমাস উপলক্ষে সেজে উঠেছে বাংলা, বাংলার চার্চ-গির্জা, সেজে উঠেছে কিছু কিছু অঞ্চল। সেই সুরে-ছন্দে তাল মিলিয়েই সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড়দিনের আগে আর একটি দিন। রবিবার। সোমবারই ২৫ ডিসেম্বর। ক্রিসমাস উপলক্ষে সেজে উঠেছে বাংলা, বাংলার চার্চ, গির্জা, সেজে উঠেছে বাংলার খিস্টীয় ভাবধারা-অধ্যুষিত অঞ্চল। প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুরে ও ছন্দে সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ, সাজিয়ে তোলা হয়েছে ব্যান্ডেল চার্চ।
আরও পড়ুন: Winter in West Bengal: বইছে হাড়কাঁপানো হাওয়া, কড়া ঠান্ডা উত্তর থেকে দক্ষিণে...
আলো দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি গির্জার সামনে গোশালা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে যিশুর জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরা হবে। বড় দিনের আগে থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে ব্যান্ডেল চার্চে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এই সময়ে। চার্চের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিসও মোতায়েন করা হয়। ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার জনি নেডুনাট জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা সাজানো হয়েছে।
১৫৩৬ সালে পর্তুগিজেরা সপ্তগ্রামে বাণিজ্য করতে আসে। এবং সেখানেই বসতি গড়ে তোলে। ১৫৯৯ সালে ব্যান্ডেলে ছোট একটি গির্জা তৈরি করা হয়। গোয়া থেকে অগস্টিন ফাদারদের নিয়ে এসে ধর্মীয় সমস্ত কাজ করা হয়। ১৬৩২ সালে মোগল সম্রাট শাজাহানের সৈন্যদের সঙ্গে পর্তুগিজদের যুদ্ধ হয়। ব্যান্ডেল ধ্বংস করে মোগল সৈন্যরা। পরে শাজাহানই গির্জা তৈরির জন্য অর্থ দেন। জমি দান করেন। সেই জমিতেই তৈরি হয় গির্জা।
নানা লৌকিক-অলৌকিক নানা ঘটনা ও নানা বিশ্বাসকে জড়িয়ে নিয়ে প্রায় চারশো বছরের চলমান ইতিহাসের সাক্ষী এই ব্যান্ডেল চার্চ। সেই চার্চ দেখতে এবং যিশু ও মাদার মেরির কাছে প্রার্থনা করতে বহু মানুষ সারা বছর জুড়ে এখানে আসেন। তবে বড়দিনের সময়ে ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি।
ফাদার জানান, ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রভু যিশুর জন্ম-মুহুর্তে মিড নাইট মাস হবে। তার আগে রাত সাড়ে দশটা থেকে চলবে বিশেষ প্রার্থনা। বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে ভিড়ের কারণে ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি ব্যান্ডেল গির্জাদর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে। তবে যেখানে আস্তাবল তৈরি হয়েছে সেখানে যাওয়ার অনুমতি থাকে।
আরও পড়ুন: Dooars: সুখবর! ডুয়ার্সে পর্যটনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমতে চলেছে...
ব্যান্ডেল চার্চের সামনে বড়দিন উপলক্ষে মেলা বসে। হরেক পসরা নিয়ে সাজিয়ে বসেন দোকানিরা, বিকিকিনি হয় ভালোই। গঙ্গার পাড়ে খোলা মাঠেও মেলা হয়, চলে পিকনিক। সব মিলিয়ে এই কয়েকটা দিন জমজমাট থাকে ব্যান্ডেল চার্চ ও তার আশপাশ। বড়দিন উপলক্ষে রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে চন্দননগর চার্চও।