জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভাগাড়ের পাশে স্কুল। মানুষকে সচেতন করতে ব্যান্ডেলে মিছিল ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষকাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ কোনও রাজনৈতিক মিছিল না। মানুষকে সচেতন করার মিছিল, স্কুলের পক্ষ থেকে। ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির প্রাইমারি, হাই ও গার্লস তিনটি স্কুলে এক হাজারের বেশি পড়ুয়া নিত্য দূষন যন্ত্রণায় ভোগে। ক্লাস করতে হয় দুর্গন্ধের মধ্যে। স্কুলের চারিদিকে বারো মাস জল জমে থাকে। আগাছার জঙ্গলে ভরে আছে। মশা মাছির উপদ্রব তো আছেই। এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাড়ির বর্জ্য ফেলে যায় স্কুলের সামনে। এমনকি গবাদি পশুর মৃতদেহও ফেলা হয়। কুকুরে টেনে নিয়ে স্কুলে ঢুকে পরে। এক কথায় দূরহ হয়ে উঠেছে পড়াশোনা।


আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা? একদিকে উচ্চচাপ বলয়, অন্য দিকে ঘূর্ণাবর্ত...


তাই বাধ্য হয়ে তিন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা রাস্তায় নামলেন। ব্যান্ডেলে রেল কোয়ার্টার এলাকা, ক্যান্টিন, বাজার, স্টেশন রোড, নলডাঙা, আমবাগান এলাকায় পদযাত্রা হয়। পড়ুয়াদের হাতে প্লাকার্ডে লেখা ‘স্কুলের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে দাও, দূষণ মুক্ত বিদ্যালয় চাই’।


বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ বাবলু জানা বলেন, ‘আমাদের মিছিলের উদ্দেশ্য হল স্কুলের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ জঘন্য অবস্থায় রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে রয়েছে। এই পরিবেশের মধ্যে আমাদের পঠন পাঠন চালানো অসম্ভব হচ্ছে। ক্লাস যখন হচ্ছে মেলেমেয়েরা নাকে হাত দিয়ে বসে থাকছে’।


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পড়ুয়াদের বলি স্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা। কিন্তু এখানে তা নেই। মানুষজন তাদের বাড়ির সমস্ত আবর্জনা এনে স্কুলের সামনে ফেলছে। স্কুলের পিছনের গেট খোলা যায়না। গবাদি পশুর মৃতদেহ ফেলা হচ্ছে’।


আরও পড়ুন: Amartya Sen: 'কোনও বাড়তি জমি দখল করে নেই', আদালতে জয় অমর্ত্য সেনের!


স্কুলের শিক্ষিকা অনন্যা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি কারন আমাদের স্কুলে খুব সুন্দর পরিবেশ ছিল ১৯৫৩ সাল থেকে। কিন্তু ইদানিং সেই পরিবেশ নষ্ট হয়েছে অনেকাংশে। সচেতনতার অভাবে মানুষ পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে স্কুল করা মুশকিল হচ্ছে’।


অভিভাবক তাপসী গায়েন বলেন, ‘এত আবর্জনা দেখেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। প্রচার না করলে মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না। এই স্কুলে আমাদের এলাকারই বাচ্চারা পরে’।


বিদ্যামন্দির স্কুলের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রূপসা দাস বলেন, ‘আমরা চাইছি স্কুলের আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাক। আবর্জনা কেউ যেন না ফেলে। এটা সবারই বলা উচিত। আমাদের ক্লাস করতে ভীষন অসুবিধা হয়। গন্ধে টেকা যায় না। স্কুলের পাশে গবাদি পশু, কুকুর ফেলে যায়, বারন করলে শোনে না’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)