নিজস্ব প্রতিবেদন:  অর্জুন সিংয়ের ওপরে হামলার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বারাকপুর শিল্পাঞ্চল বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তারই জেরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অবরোধ-বিক্ষোভ। এর প্রভাব পড়ল শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন চলাচলেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাথা ফাটল অর্জুন সিংয়ের, চলল গুলি, পার্টি অফিস দখল ঘিরে রণক্ষেত্র জগদ্দল


সকাল ছটা থেকেই কাঁকিনাড়ে স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। যদিও ট্রেন অবরোধের কোনও কথা ছিল না তবুও দলের পতাকা হাতে বিজেপি সমর্থকরা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। আটকে যায় একাধিক ট্রেন। চরম দুর্ভোগে পড়ে যান নিত্যযাত্রীরা। পুলিস এসে তাদের তুলে যায়। প্রায় আধঘণ্টা থমকে যায় ট্রেন চলাচল।


পাশাপাশি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তায় নেমে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা। জুট মিল থেকে শুরু করে অন্যান্য কলকারখানার সামনেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। টিটাগড় থেকে বারাকপুর পর্যন্ত অধিকাংশ জুটমিলই বন্ধ। রাস্তাঘাট শুনশান। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বার্নপুর এলাকায় অবরোধ করেন বিজেপি। তাদের সমর্থকদের দাবি, অবিলম্বে অর্জুন সিংয়ের ওপরে হামলাকারীদের শাস্তি দিতে হবে।


এদিকে, অর্জুন সিংয়ের ওপরে হামলার প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। জেলা এসপি অফিস ঘেরাও করবে তারা। রাজ্য বিজেপি গোটা ঘটনা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।


আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণে কারও চাকরি যাবে না, জোর গলায় জানালেন নির্মলা


উল্লেখ্য, রবিবার পার্টি অফিস দখল করাকে কেন্দ্র করে রণক্ষত্রে হয়ে ওঠে জগদ্দল। সেই সংঘর্ষ ছড়ায় কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়ায়। সংঘর্ষের জেরে মাথা ফেটে যায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে বিজেপি সাংসদের।



পরিস্থিতি সামাল দতে কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে এলাকায়। শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিস। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। জখম অর্জুন সিংকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথায় ৭টি সেলাই পড়েছে। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে আক্রান্ত হন ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা সাংসদ পুত্র পবন সিংও।