নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন প্রদীপের তলায় অন্ধকার! প্রথম দফার লকডাউন ঘোষণা সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেদন করেছিলেন, কাজ বন্ধ থাকলেও বাড়ির পরিচারক-পরিচারিকা, গাড়ির চালক থেকে বেসরকারি কর্মীদের বেতন কাটবেন না। কিন্তু তাঁর দলের রাজ্য অফিসে কর্মরত মাস-মাইনের কর্মীদের হাতই খালি। লকডাউনে তাঁরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ। বেজায় অনটনে পড়েছেন ২৩ থেকে ২৪ জন কর্মী। ঘটনাটি স্বীকার করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তাঁর দাবি, তাড়াতাড়ি মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দয়াকরে এবার ইদের নামাজ বাড়িতে থেকেই পড়ুন, আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর


কথায় আর কাজে ফারাক! নাকি প্রধানমন্ত্রীর কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনই বোধ করে না রাজ্য বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছেন, লকডাউনে সাধারণ কর্মীদের মাইনে কাটবেন না। অথচ রাজ্য বিজেপি অফিসে গাড়ি চালক, তদারকিতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা বেতন পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানালেন,''আহামরি মাইনে পাই না। সামান্য টাকাই আসে। সেটাও না পেলে এই বাজারে চলবে কেমন করে!''


রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সওয়ার ধননিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের 'আশিসে' রাবার বোর্ডে পদ পেয়েছেন। লকডাউনেও সেই পদের সৌজন্যে গাড়িতে যাতায়াত করেছেন। অথচ রাজ্য দফতরে 'কষ্ট' করে আসতে পারেননি ধননিয়াবাবু। দফতরের কর্মীদের হকের টাকা মেটানোর ন্যূনতম মানবিকতা দেখাতে পারেননি। লকডাউনেও  জেলায় জেলায় কর্মীদের ত্রাণ নিয়ে তো অভিযোগ রয়েইছে। এমন সংকটের সময়ে দলের নেতাদের টিকি মেলেনি। কোথাও কোথাও আবার চাল 'লোপাট' করার অভিযোগও রয়েছে।  


দফতরের কর্মীরা যে বেতন পাননি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সায়ন্তন বসু। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে তিনি বলেন,''এটা ঠিক বেতন হয়নি। চেক ক্লিয়ারে কিছু সমস্যা হয়েছে। অনেকের ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্ট নেই। তাড়াতাড়ি মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।'' এই তো সায়ন্তনবাবুদের দলের নেতা '৫৬ ইঞ্চি'র ছাতি ফুলিয়ে প্রচার করেন, ভারতের সকলের নাকি জনধন যোজনায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়ে গিয়েছে। অথচ সেই দলের দফতরের কর্মীদেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! 


বিজেপিতে এখন খানিকটা ব্রাত্য শমীক ভট্টাচার্য। সেই শমীকবাবুই দফতরের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের সাহায্য করেছেন বলে খবর।