নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপিতে যোগদানের পরই আক্রান্ত বনগাঁর বিধায়ক। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিধায়ককে কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর চোট বেশ গুরুতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা গিয়েছে, বিধানসভায় যাওয়ার উদ্দেশে শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরন বিশ্বজিৎ দাস। সেইসময়ই তাঁর উপর হামলা হয়। তাঁর গাড়ি গোপালনগরের ঘোষপাড়া এলাকায় আসতেই দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তারপর বাঁশ দিয়ে বিধায়কের গাড়ির উপর এলোপাথারি মারা হয়। যাতে গুরুতর আঘাত লাগে বিশ্বজিৎ দাসের।


প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। ২০১১ সালে বনগাঁর বিধায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তীকালে বিশ্বজিতের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর। তাঁর দাপটেই মূলত দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। এবার লোকসভা নির্বাচনের সময়ও বিশ্বজিতের বদলে শঙ্কর আঢ্যর উপর আস্থা রাখে দল।


আরও পড়ুন, শাসকদলে যোগদানে বাধা! বাইক থেকে নামিয়ে তৃণমূল কর্মীর গলায়, পেটে ক্ষুর হামলা


কিন্তু, ভোটের ফল বেরতে দেখা যায় বনগাঁ কেন্দ্রের ৬ টি বিধানসভা এলাকাতেই (স্বরূপনগর বাদে) জয় পেয়েছে বিজেপি। আর তারপরই লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পরই বিজেপিতে নাম লেখান বনগাঁ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।  রাজ্য় রাজনীতিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিশ্বজিৎ দাস। মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের বাড়িতেও যেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁ উত্তর পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর। যারপরই শুরু হয় বনগাঁ পুরসভা নিয়ে দড়ি টানাটানি, আইনি লড়াই।