COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: তালা পড়েছে হিন্দুস্তান কেবলসে। ধুঁকছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী কারখানাকে বাঁচাতে পথে নেমেছে  ডান-বাম সবকটি শ্রমিক সংগঠন। কারখানার গেটে চলছে কনভেনশন। ১৫-২০ বছরে বন্ধ হয়েছে একের পর এক কারখানা। তালা ঝুলেছে হিন্দুস্তান কেবলস-এ। দেউলিয়া বার্ন স্ট্যান্ডার্ড। ধুঁকছে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের আকাশে কালো মেঘ।


বার্ন স্ট্যান্ডার্ড।  মালগাড়ির ওয়াগন তৈরির এই কারখানা একসময়ের আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মুকুটের পালক। ১০০ বছর আগে ৭০০০ শ্রমিক নিয়ে পথ চলা শুরু বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের। মালগাড়ির ওয়াগন তৈরির পাশাপাশি মেরামতও হয় এখানে। কিন্তু, সোনালি সেদিন এখন অতীত।  বিপুল ক্ষতি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই কারখানাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে সরকার। ঐতিহ্যবাহী এই কারখানা এখন কেন্দ্রের নীতি আয়োগ কমিটির নিয়ন্ত্রণে। 


২৮৪ কোটি টাকা ক্ষতি দেখিয়ে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডকে দেউলিয়া ঘোষণা। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে শ্রমিক সংখ্যা ঠেকেছে ৫০০। প্রতিমাসে ১০০টি নতুন ওয়াগান তৈরি হয় কারখানায়।


কেন দেউলিয়া ঘোষণা?
শ্রমিকদের প্রশ্ন, ঠিক এই জায়গাতেই। প্রতিমাসে ১০০টি করে নতুন ওয়াগান তৈরি করারও পরও কেন দেউলিয়া বলা হচ্ছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডকে? পরিসংখ্যান হিসাবে UBI-র একটি সার্ভে তুলে ধরছেন তাঁরা। ২০১৩-য় বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের সম্পত্তির পরিমান ১ হাজার কোটি টাকা। বিপুল সম্পত্তির থাকা সত্ত্বেও কেন বার্ন স্ট্যান্ডার্ডকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হচ্ছে? এজন্য কেন্দ্রের ভুল নীতিকেই দায়ী করছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।


কেন্দ্রের ভুল নীতি?
প্রতিবাদে পথে নেমেছে ডান-বাম মিলিয়ে মোট ৭টি  শ্রমিক সংগঠন। কারখানার গেটে শুরু হয়েছে কনভেনশন। পাশে দাঁড়িয়েছে এলাকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। কারখানা বাঁচাতে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঐতিহ্য-গরিমা নিয়ে ফিরবে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড। আশায় বুক বাঁধছেন আসানসোলের মানুষ।