নিজস্ব প্রতিবেদন : জেলা শাসকের দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে সরকারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একদিনের বার! বর্ষবরণের রাতের জন্য তৈরি হয়েছে একদিনের বার! আর তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মোটা অঙ্কের প্রবেশমূল্যের বিনিময়ে সেই অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে মিলবে নামী স্কচ, হুইস্কি! গোটা রায়গঞ্জ শহর কার্যত ছয়লাপ এমন বিজ্ঞাপনে। সরকারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেন এই ব্যবস্থা? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টি নিয়ে তেমনভাবে মন্তব্য করতে নারাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা প্রশাসনিক দফতরের পাশেই রাজ্য সরকারে উদ্য়োগে গঠিত হয়েছে বিরাট স্পোর্টস কমপ্লেক্স। ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার, বাস্কেটবল, জিম প্রভৃতি খেলার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। সেইসাথে রয়েছে বিশাল অডিটোরিয়ামও। এই কোভিড পরিস্থিতিতে সেখানেই ৩১ ডিসেম্বরের রাতে বর্ষবরণের উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জলসার সঙ্গে নামী-দামী বিদেশি ব্র্যান্ডের পানীয়ের ব্যবস্থাও থাকছে সেখানে। অনুষ্ঠানের ভিআইপি পাসের মূল্য ৫৩০০ টাকা, কাপল পাস ৪০০০ টাকা এবং সাধারণ পাসের মূল্য ২৫০০টাকা রাখা হয়েছে। কর্ণজোড়া থেকে শুরু করে গোটা রায়গঞ্জ শহর জুড়ে এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন পড়েছে। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।


উদ্যোক্তাদের পক্ষে গোপাল দেব জানিয়েছেন, “৩১ ডিসেম্বর একদিনের বারের জন্য আবগারি দফতর এবং থানা থেকে অনুমতি দিয়েছে। ভিআইপি টিকিটে স্ন্যাক্স ও ডিনারের সাথে ড্রিঙ্কস ফ্রি থাকছে।” কিন্তু সরকারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেন মদের ব্যবস্থা? তা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফে এর প্রতিবাদে রায়গঞ্জ শহরে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী এপ্রসঙ্গে বলেন, “সরকারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শরীর গঠনের জায়গায় মদারুর ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে। সরকারি ক্লাব আর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বার কেন? খেলাধুলার জায়গাতেও মদের আসর বসিয়ে দিচ্ছে! সেখানে দারুর ঘাঁটি তৈরি করছে। এটা খুবই নিন্দনীয়। এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।” 


যার পাল্টা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, "যাদের নজর যেখানে তাঁরা সেই বিজ্ঞাপনই দেখেন। তবে আসলে সেখানে কী হচ্ছে সেটা ভালোভাবে না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।" জেলা তৃণমুল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, এই একদিনের বার খোলায় খারাপ কিছুই দেখছেন না তিনি। তাঁর কথায় লোকে যাতে নকল মদ কিনে না খায়, তাই সরকারি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই ব্যবস্থা। সন্দীপ বিশ্বাস ও কানাইয়ালাল আগরওয়াল, দুজনের কেউই বিজেপির আন্দোলনকে আমল দিতে চাননি।


আরও পড়ুন, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের সভায় অনুপস্থিত ২ বিধায়ক