জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার দুই, আটক আরো দুই। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামির নাম শফি খান ও জামশেদ আনসারী। শফি খানকে খড়দহ রহড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামশেদ আনসারী কে বীরভূমের মুরারাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান ডিসি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডে পুলিসের তরফ থেকে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়েছে যে বাকিদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। গ্রেফতার হওয়া দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিস জানিয়েছে ৩ জনকে আটক করা হয় এবং তাঁদের থেকেই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


অর্থাৎ এই ঘটনায় মোট দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও। পুলিসের তরফ আরও জানা গিয়েছে যে তাঁদের কাছ থেকে একটি মটরবাইক পাওয়া গিয়েছে। বাকি অস্ত্র এবং অন্য বাইকটির সম্পর্কে খোঁজ করার জন্য যে দুজন গ্রেফতার হয়েছে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বীরভূমে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে বোমা-বিস্ফোরক!


এর থেকে বেশি আর কোনও তথ্য পুলিস দিতে রাজি হয়নি। যদিও এখনও পর্যন্ত তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে তাই এই ঘটনার পিছনে মূল কারণ কী তা এখনও জানা যায়নি। যদিও এর থেকে বেশি তথ্য জানালে তদন্তে অসুবিধা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে পুলিসের তরফে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে গ্রেফতার হওয়া দুইজনকেই শুক্রবার আদালতে তোলা হবে।


ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় এলোপাথারি গুলি চলে সোনার দোকানে। প্রাণ যায় দোকান মালিকের ছেলের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দোকান মালিক ও এক কর্মচারী।


আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: শনিবার পর্যন্ত ঝড়ের সম্ভাবনা, সপ্তাহান্তে বাড়বে গরম


স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধেয় ব্যারাকপুরের ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে ঢুকে পড়ে একদল ডাকাত। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে তারা। সকলেই মাথায় ছিল হেলমেট। অভিযোগ, দোকানে ঢুকে একসঙ্গে অনেক গয়না দেখতে চায় দুষ্কৃতীরা। এরপর যখন দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয়, তখন ৪ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি চলে! স্রেফ দোকান মালিক নন, গুলিবিদ্ধ হন তাঁর ছেলে ও দোকানের এক কর্মচারীও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালিক পুত্রের।


ব্যারাকপুরকাণ্ডে ফের পুলিসকে নিশানা সাংসদ অর্জুন সিংহের। তিনি জানিয়েছেন, ‘যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)