নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ের খুনি বাবা, ঠাকুমাই। আদালতে স্বাক্ষী দিল নাবালক ছেলে।  এমনই ঘটনার  সাক্ষী থাকল বারুইপুর মহকুমা ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। ৬ বছরের ওই ছেলের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ই ২০১০ সালের এক গৃহবধূর হত্যা মামলায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বারুইপুর  ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি রমেন্দ্রনাথ মাখাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বরে  খুন হন জয়নগরের গৃহবধূ সোমা মিদ্দা। সেদিন সোমার  ছ’বছরের ছেলের সামনেই  তাঁর ওপর রাতভর অত্যাচার চালায় স্বামী জগদীশ মিদ্দা, শাশুড়ি গীতা ও ননদ রূপা। সারা রাত ধরে অত্যাচারের পর একপ্রকার সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন সোমা। এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর স্বামী, শাশুড়ি, ননদ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার ছেলের সামনেই সোমার মুখে ঢেলে দেওয়া হয় বিষ। ভোররাতে মৃত্যু হয় সোমার। পরেরদিন অর্থাত্ ১২ ডিসেম্বর জয়নগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সোমার বাবা ঝড়ো। পরিবার অভিযোগ করে, পণের টাকার জন্য নিত্যদিন অত্যাচার চলত সোমার ওপর। সেই কারণেই তাকে খুন করা হয়।


মনুয়াকাণ্ড: স্বামী অনুপমকে খুনে স্ত্রী মনুয়া ও প্রেমিক অজিতের যাবজ্জীবন


 সোমার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ ছাড়াও তাঁর শ্বশুর ও কাকা শ্বশুরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু এদিন আদালত  তাদের বেকসুর খালাস করে দেয়। এদিন আদালতে এই মামলার সাজা ঘোষণা ছিল। এদিন বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি  রমেন্দ্রনাথ মাখাল  ১১ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৫ নম্বর সাক্ষী ছিল সোমার ৬বছরের ছেলে। বিচারপতির সামনে সেদিন তার চোখের সামনে ঘটা সবই বলে দেয় সে। এরপর অতিরিক্ত বিচারপতি সোমার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।