বিক্রম দাস, তথাগত চক্রবর্তী: বারুইপুরের নৌসেনা কর্মী খুনের ঘটনায় উঠে এলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা থকে অনুপ্রানিত হয়েই দেহ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় দুই অভিযুক্ত। জেরাতেই নিজেই এই কথা জানিয়েছেন ওই সেনা কর্মীর ছেলে। শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই খুনের কারণ পরিষ্কার হয়ে যায় পুলিসের কাছে। জেরায় ওই সেনা কর্মীর ছেলে স্বিকার করের ন্য যে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর খুন তারাই করেছেন এবং শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাঁকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও পোস্টমরটেম রিপোর্ট আসার পরে বদলে যায় সম্পূর্ণ চিত্র। সেই সময়েই বোঝা যায় প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এবং তারপরে দেহের বিভিন্ন অংশ কাটা হয়। উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহে মৃত্যুর পড়ে হওয়া আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। জানা যায় যে বিবাদের জেরে খুন করা হয় তাঁকে।


উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী জানিয়েছেন তিনি নেশা করতেন এবং তাদের উপরে অত্যাচার করতেন। ছেলে জানিয়েছেন তাঁর পরীক্ষার খরচ দেওয়া নিয়ে ঝগ্রা হয় এরপরে তিনি বাবাকে ধাক্কা দেন। বাবা পড়ে গেলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।


পুলিসের প্রশ্ন জাগে কেন খুনের পরেও দেহের এত টুকরো করা হয়েছে। সেই সময়েই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে পুলিসের জেরায়। উজ্জ্বল চক্রবর্তীর ছেলে দাবি করে যে খুন হয়ে যাওয়ার পরে তারা বুঝতে পারেনি কী করতে হবে। তাঁর মা বার বার তাঁকে জিজ্ঞেস করে এবার কী করা হবে এবং দেহ নিয়ে কী করা হবে। সেই সময়েই উজ্জ্বল চক্রবর্তীর ছেলে তাঁর মাকে জানায় দিল্লির ঘটনার মতোই দেহের টুকরো করে সেগুলিক বিভিন্ন জায়গায় ডিসপোজ করে দেওয়া হোক।


উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী তারা ছেলেকে জানায় দেহ বাথরুমে কাটার কথা। যাতে সেখান থেকে রক্তের দাগ সরিয়ে ফেলা সহজ হয়। সেই বাথরুমেই দেহের ছয় টুকরো করা হয়।


আরও পড়ুন: Baruipur Ex-Navy Officer Murder: শ্বাসরোধ করেই খুন, প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ করাত দিয়ে কেটে ৬ টুকরো করে স্ত্রী-ছেলে


দুটি হাত এবং পা বাদে দেহের বাকি অংশ সাইকেলে করে মা এবং ছেলে মিলে পাশের পুকুর ফেলে দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও দুইবার ছেলে নিজেই সাইকেল চালিয়ে দেহের বাকি অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই আরও দুটি অংশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি দেহাংশের উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


জানা গিয়েছে বারুইপুরের সালেপুরের প্রান্তিক আবাসনের বাসিন্দা ছিল উজ্জ্বল চক্রবর্তীর পরিবার। পাড়ার শিশুদের সঙ্গে জয় খেলতে গেলে কোনও কারণে তাদের মধ্যে মারপিট হলে উজ্জ্বলবাবু জয়কে শেখাতেন কিভাবে কোথায় মারতে হয়। স্বামী ও স্ত্রীর বনিবনা না হলেও স্ত্রীও তার মত করে ছোটবেলা থেকেই জয়কে হিংসার শিক্ষা দেন তারই প্রতিফলন এই ঘটনা বলে দাবি প্রতিবেশীদের। এই আবাসনে আরও ২৫টি পরিবার থাকলেও কারোর সঙ্গেই তারা কথা বলতেন না।         


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)