নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসি অ্যাকশন। চটজলদি রেজাল্ট। বসিরহাটে এগারো লক্ষ টাকা লুঠকাণ্ডে, মাত্র দেড় ঘণ্টায় কেস ফিনিশ! উদ্ধার পুরো টাকা। বিএমডব্লিউ ভাড়া করে লুঠ করতে আসা চার দুষ্কৃতী গ্রেফতার। ফেরার ২। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন সলজ্জ হাসি। কে বলবে, কয়েক ঘণ্টা আগেই ইনি কার্যত হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন, পুলিসি পাওয়ার কাকে বলে! বসিরহাটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ভাস্কর চক্রবর্তীর কর্মচারী, প্রায় ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে মালিকের বাড়িতে ঢোকার সময়ই বিপত্তি বাধে। তাঁর সামনে হঠাত্‍ এসে দাঁড়ায় একটি বিএমডব্লিউ। চার জন ভিতর থেকে নেমে এসে, টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে টানাটানি শুরু করে। চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে আসেন ব্যবসায়ীও। তবে তাঁর দিকে বন্দুক তাক করায় পিছিয়ে যান তিনি। তবে এরই মধ্যে বিএমডব্লিউ-র নম্বরটি নোট করে নেন।


আরও পড়ুন- কোচবিহারে দিলীপ ঘোষের কনভয় আটকাল পুলিস


লুঠেরাদের গাড়ির নম্বরটি পুলিসকে জানান ব্যবসায়ী। বসিরহাট থানার আইসি-র কাছেও এই লুঠের খবর ও গাড়ির নম্বর পৌঁছয়। কলকাতা থেকে সেইসময় গাড়িতে ফিরছিলেন আইসি -বিশ্বজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নজর পড়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা বিএমডব্লিউ-র গাড়ির দিকে। নম্বর দেখে গাড়ি চিনতে পারেন তিনি এবং সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন দুষ্কৃতীদের ওপর। ঘটকপুকুরের কাছেই বমাল ধরা পড়ে যায় দুষ্কৃতীরা। লুঠ হওয়া পুরো টাকাই উদ্ধার হয়। তাও মাত্র দেড় ঘণ্টায়!


আরও পড়ুন- 'জিআই' চাইছে জনাইয়ের ২০০ বছরের পুরনো মনোহরা


পুলিস সূত্রে খবর, এ ঘটনায় ধৃত শুভঙ্কর দাস এই লুঠের পরিকল্পনার মূল চক্রী। ব্যবসায়ীর পাড়ার কাছাকাছিই শুভঙ্করের বাড়ি বিত্তশালী ব্যবসায়ী ভাস্কর চক্রবর্তীর টাকার লোভেই এই লুঠের প্ল্যান করা হয়।