নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারই স্ত্রী সুজাতা মন্ডলকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। আজ স্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর পাঠানো নোটিসে কী কী রয়েছে, আসুন দেখা যাক এক নজরে...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুজাতার উদ্দেশে আইনজীবী লিখেছেন, 


* আপনি এবং আমার মক্কেল সৌমিত্র খাঁ গত ৬ মাস ধরে আলাদা থাকছেন। আমার কাছে তথ্য আছে, আপনাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর আন্তরিক সম্পর্কও নেই।
* আপনি অযথা চিৎকার চেঁচামেচি করেন এবং হাইপারটেনশনে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন আমার মক্কেল সৌমিত্র খাঁ
* আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আপনি সৌমিত্রকে তাঁর পরিবারের থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন। সৌমিত্রের বাবা-মার সঙ্গে আপনার সম্পর্কও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। 
* বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে সন্দেহ করতেন, বাড়িতে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতেন এমনকী মারধরও করতেন বলে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ
* আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে আপনি আমার মক্কেলকে বিজেপিতে উচ্চপদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতেন। বিজেপিতে স্বজনপোষণের কোনও স্থানই নেই। বিজেপিতে জায়গা না পেয়ে আপনি আমার মক্কেলের উপর চাপ দিতে থাকেন। এমনকী অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতেন। 
* আপনার বিরুদ্ধে এরপরের অভিযোগ, আপনি আমার মক্কেলকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তৃণমূলে পদ পাওয়ার লোভে আপনি আমার মক্কেলের কথা না শুনে তাঁকে মারধর করেন এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যান। 
* সৌমিত্র খাঁ বুঝতে পেরেছেন আপনি তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ক্ষতি করতে পারেন। আপনি তাঁর উপর যথেষ্ট মানসিক চাপ বাড়িয়েছেন। আমার মক্কেল এক বিশিষ্ট ব্যক্তি, তাঁর সামাজিক জীবনে কোনও 'কালো দাগ' নেই।



 



আইনি নোটিসে আরও বলা হয়েছে, সৌমিত্র পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সুজাতার সঙ্গে দ্রুত বিবাহবিচ্ছেদে চান। তিনি তাঁর সমস্ত স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির দাবি ছাড়তেও রাজি। নোটিসে এ ছাড়াও বলা হয়েছে, আমার মক্কেল ভেবেছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁর স্ত্রী বুঝতে পারবেন এবং হয়ত তাঁর ব্যবহারে কিছুটা বদল আসবে। কিন্তু সুজাতার অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বদলে যাচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সৌমিত্র-পত্নীর তৃণমূলে যোগদান ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়েছে। স্ত্রীকে পাঠানো সৌমিত্রের এই আইনি নোটিস তাকেই আরও একধাপ বাড়িয়ে দিল।