নিজস্ব প্রতিবেদন: সিনিয়রদের হোমওয়ার্ক করে দিতে হবে জুনিয়রদের। আর তা না করলে? হস্টেলের ঘরে ঢুকে চলল অকথ্য অত্যাচার, মারধর! ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে র‍্যাগিংয়ের (Ragging) শিকার বেলঘরিয়ার কিশোর। বাবার ফোনে তার রক্তাক্ত ছবি পাঠাল সহপাঠীরা। অভিযুক্ত ৮ পড়ুয়াকে ইতিমধ্য়েই TC দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) পৌঁছে গিয়েছেন বাবা। বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা।

 

নির্যাতিত ওই কিশোরের নাম শ্য়াম কুমার মাহাতো। একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে। অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। ভেবেছিলেন, পড়াশোনা শেষে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে শ্যাম। কিন্তু তা আর হল কই! উল্টে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তাকে। কেন? পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ভোর পাঁচটা যখন হস্টেলে ঘুমাচ্ছিল শ্যাম, তখন ঘরে ঢুকে তাঁর উপর চড়াও হয় ৪০-৫০ জন সিনিয়র ছাত্র। ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘণ্টা খানেক বাদে ফের একই ঘটনা ঘটে। হামলার জেরে শ্যামের মাথায় আঘাত লেগেছে, ছিঁড়ে গিয়েছে শিরাও। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবি তুলে বাবা-কে পাঠিয়ে দেন সহপাঠীরা।  তাঁরা জানায়, সিনিয়রদের 'হোমওয়ার্ক' না করার জন্য র‍্যাগিংয়ের শিকার ওই কিশোর।  আর দেরি করেননি, তড়িঘড়ি বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান শ্যামের বাবা। 

 


 

শ্যাম কুমার মাহাতের বাবার দাবি,  ঘটনাটি জানার পর প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফোন সুইচ অফ ছিল। এখন বিশাখাপত্তনমের একটি হাসপাতালে ভর্তি শ্যাম। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থায় খুব একটা ভালো নয় বলে জানা গিয়েছে। শ্যামের বাবা পৌঁছানোর পর, নড়চড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষও। সন্ধ্যার দিকে জানা যায়, অভিযুক্ত ৮ পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে।