নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকালে রেশন নিয়ে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে রাজ্য। রেশনে দেওয়া পণ্যের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এবার একই ইস্যুতে অশান্ত হল হাওড়া। রেশনে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিম্নমানের আটা দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাওড়ার বেগড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় আটার প্যাকেট ফেলে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ডোমজুড় থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ওই রেশন দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ আটার প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই রেশন দোকানের সামনে মেয়াদ উত্তীর্ণ 'নিম্মমানের আটা' রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে আটা দেওয়া হচ্ছে তা কোনওভাবেই খাওয়ার যোগ্য নয়। এমনকী পরিমাণেও কম দেওয়া হচ্ছে। রেশন গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, বার বার বলা সত্বেও রেশন ডিলার তাঁদের কথায় কর্ণপাত করনেনি। উল্টে দুর্ব্যবহার করেন।


আরও পড়ুন, ভ্যাকসিনে আতঙ্ক স্থানীয়দের! সোনারপুরে আসরে নামতে হল বিধায়ককে


এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বেগড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এরপর গোটা বিষয়টিতে তিনি হস্তক্ষেপ করতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ওই রেশন দোকানের এক গ্রাহক আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন এই ডিলার ওজনেও কম পরিমাণে রেশন পণ্যে দিয়ে থাকেন গ্রাহকদের। রেশনের ভালো পণ্যে স্থানীয় মুদি দোকানে বিক্রি করে দেয় এই রেশন ডিলার এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন তিনি। 


পরিস্থিতি উত্তাল হতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ আটার প্যাকেট দেওয়ার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেন রেশন দোকানের মালিক সঞ্জয় ঘোষ। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখনও তার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। যে আটার প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল তার দোকান থেকে সেগুলো যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তা তিনি জানতেন না। না দেখেই তিনি গ্রাহকদের তা দিয়েছেন। পরে পুলিস ও উপপ্রধানের সামনে গুণগতমানে ভাল এমন আটার প্যাকেট দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ আটার প্যাকেট ফেরত নিয়েছেন তিনি। 


যদিও বাকি অভিযোগ অস্বীকার করেন সঞ্জয় ঘোষ। বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অনিরুদ্দিন মল্লিক জানান অভিযোগ আসার পরই ওই খারাপ প্যাকেটগুলো পাল্টে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি পুলিসের কাছে।