ভ্যাকসিনে আতঙ্ক স্থানীয়দের! সোনারপুরে আসরে নামতে হল বিধায়ককে
সঙ্গে ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ও থানার আইসি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড সচেনতার বালাই নেই। বরং আতঙ্কে ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা! আতঙ্ক এতটাই যে, দৌড়ে পালাতেও দেখা গেল অনেককেই! শেষপর্যন্ত আসরে নামতে হল বিধায়ক-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। বাদ গেল না পুলিসও। আজবকাণ্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলছে, কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি রাজ্যে। করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিপদ কাটেনি এখনও। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে । AIIMS প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। আগামী ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যেই তা আছড়ে পড়তে পারে দেশে। তাঁর মতে, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে টিকাকরণে হার বৃদ্ধি করাই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন:ডার্ক ওয়েবে অস্ত্র কেনাবেচা করত কালিয়াচকের আসিফ! অনুমান পুলিসের
কলকাতা থেকে দূরত্ব বড়জোর ১৫ থেকে ২০ কিমি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর ব্লকের ১ নম্বর খেয়াদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে পাইলেন গ্রামে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস। তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।
কেন? জানা গিয়েছে, এই পাইলেন গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন। রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। অনেকেই শরীর খারাপ-সহ নানারকম অজুহাত দিচ্ছেন। কেউ কেউ তো আবার ভ্যাকসিনের নাম শুনলেই ছুটে পালিয়ে যাচ্ছেন! অগত্যা স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাতে আসরে নামেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফি্রদৌসী বেগম, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকার, বিডিও সৌরভ ধল্ল ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ কুমার মিশ্র, এমনকী নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীও। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যান তাঁরা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বুঝিয়ে-সুঝিয়ে একশোজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া গিয়েছে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভয় অনেকটাই কেটেছে। আগামী সপ্তাহের এলাকায় ক্যাম্প করা হবে।
(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)