নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচন আর বেশি দেরি নেই। এর মধ্যেই দল গুছিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া বিজেপির সাংঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকের প্রথম দিন উঠে এল এমনটাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, আজ থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে শুরু হয়েছে বিজেপির ওই বৈঠক। বলা যেতে পারে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেমন-সহ দিল্লির নেতাদের উদ্যোগেই মুকুল, দিলীপ, রাহুল-সহ প্রায়  সব নেতারা হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে। আসতে পারেননি শিবপ্রসাদ। উদ্দেশ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিধানসভাভিত্তিক পর্যালোচনা করা।


আরও পড়ুন-বিদেশ থেকে আগত ভারতীয়রা কোভিড নেগেটিভ হলে আর কোয়ারেন্টিনে নয়!


কিছুদিন আগেই দিল্লিতে এনিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্য নেতারা। সেখানে রাজ্যের মোট ১৩০ বিধানসভা আসনে বিজেপির অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। বাকী বিধানসভাগুলি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আজ থেকে। চলবে আরও চার দিন।


কী আলোচনা। কী বললেন দিলীপ ঘোষ


# গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তার পর রাজ্যে আর কতটা শিকড় চালাতে পেরেছে বিজেপি, কোথায় ভালো এগোচ্ছে সংগঠন। কোথায় এগোচ্ছে না। কেন তা এগোচ্ছে না তা পর্যালোচনা করেন বিজেপির নেতারা।


# রাজ্যে বিরোধিতার অধিকার নেই। তার পরেও লড়ছে দল।


# রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।


# রাজ্যপালকে গৃহবন্দী করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।


# মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের স্লোগান দিয়ে এসেছিলেন। দেখা গেল পরিবর্তন যা হয়েছে তা আরও খারাপ হচ্ছে।


# সমস্যা রয়েছে সংখ্যালঘু এলাকায়। সমর্থন আছে কিন্তু সংগঠনের দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না কেউ।  হিংসার ভয়ে।


আরও পড়ুন-PM-CARES-এর টাকায় ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে: রবিশঙ্কর প্রসাদ


# সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


# বিশ্বভারতীর জমি বাইরের লোকে কব্জা করছে। তৃণমূলের সাহায্যেই করেছে। সেটা ভিসি আটকাতে গিয়েছিলেন। হাঙ্গামা ওনারা সমর্থন করছেন না অথচ এমএলএ কে পাঠিয়ে দেওয়াল ভেঙে দিচ্ছেন। এটা কিভাবে হয়?


# ত্রুটি বিচ্যুতি, অসম্পূর্ণতা আছে। সরকারের ভয় রয়েছে। সেইগুলি কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় আমরা দেখছি।


গত কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে একটা অন্তঃদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর মধ্যেই একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ঘর গোছানোর চেষ্টা করছেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। এদিন দিলীপ বলেন, রাজ্যে বিজেপি ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা সামনে আনতে হবে। রাস্তায় নেমে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একথা মাথায় রেখে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব বিডিও অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি।