নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজেট শেষে যে ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে-মুখে প্রকাশ পেল, তা হল কেন্দ্রের বঞ্চনা। একশো কোটি, দু’শো কোটি নয় প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে, বলে এদিন দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন বাজেট শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, কেন্দ্রের বঞ্চনা শুনলে নিশ্চয়ই দুঃখিত হবেন। রাজস্বের প্রাপ্য টাকা এখনও কেন্দ্রের রাজকোষে গচ্ছিত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, রাজস্বের ১১,২১৩ কোটি টাকা কেন্দ্র এখনও দেয়নি। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় সাংবিধানিক অধিকার বলে জানান তিনি। এছাড়া ৩৭,৯৭৩ কোটি টাকা অনুদান এবং জিএসটি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১৩০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য পায়। মোট প্রাপ্য ৫০,৪৮৬ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে মোদী সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ অমিত মিত্রের।


আরও পড়ুন- বিজেপি-আরএসএসের উদ্দেশ্যই হল চাকরিতে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া, সরব রাহুল গান্ধী


পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এর আগে ৩৮ হাজার কোটি টাকার লিস্ট নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু তা-ও মেলেনি। অর্থাত্ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আরও আনুষাঙ্গিক পাওনা যোগ করে মমতা বলেন, অঙ্কটা লক্ষ টাকার মতো হবে।


বুলবুলের ক্ষতিপূরণ প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্র এখনও দেয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন। এরপরও সামাজিক প্রকল্পে রাজ্য সরকার দরাজ হস্তে ব্যয় করার প্রস্তাব রেখেছে। কর্মসংস্থান নিয়ে জেরবার দিল্লি সরকার। অমিত মিত্র রাজ্যে আরও কাজের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন।  বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য, কর্মসাথী প্রকল্পে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হবে ঋণ। দু-লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ভর্তুকি দেবে সরকার। বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য উত্‍সাহ প্রকল্প, বাংলাশ্রীতে ১০০ কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য। ৩ বছরে ২০০ কোটি টাকায় ১০০টি নতুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পতালুক তৈরি হবে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। বরাদ্দ ১৫ কোটি টাকা।