নিজস্ব প্রতিবেদন: একশো দিনের টাকা ক্লিয়ার করে দিন। কয়েক মাস পর নির্বাচন। উন্নয়ন থেমে থাকবে না। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেন একশো দিনের কাজকে। তাই এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, যাঁরা একশো দিনের কাজ করেছিলেন, তাঁদের বকেয়া টাকা যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে দিতে হবে। যাঁদের বাকি রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "করোনা থাকবে। তা বলে কাজ ফেলা রাখা যাবে না।"  তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন আসবে, যাবে, কিন্তু সরকার থাকবে, আপনারা থাকবেন। তাই উন্নয়ন থেমে থাকবে না।" এ দিন জোর দিলেন 'জল ধরো জল ভরো' প্রকল্পের উপর। চাষের জমিতে বৃষ্টির জল জমতে শুরু করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্দেশ দিলেন, ন্যূনতম কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত এবং সেচ দফতরকে কাজ করতে হবে।


আরও পড়ুন- 'কোনও কৃষক যেন বঞ্চিত না হন', বন্যা আশঙ্কায় সেচ ব্যবস্থায় নজরদারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী


একশো দিনের কাজের পাশাপাশি বাংলা সড়ক যোজনা 'কাজল' প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ছোটো ছোটো রাস্তার উপর নজর দিতে হবে। ছোটো রাস্তায় বড় গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।'রাস্তার কাজ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের সমালোচনা করেন তিনি। মমতা বলেন, "লজ্জা করে না শুনতে কাজের অগ্রগতি এত কম কেন।"


এ দিন বাংলা সড়ক যোজনা কোথায় কত কাজ হয়েছে, তার ফিরিস্তি দিয়ে মমতা জানান, বাঁকুড়া লক্ষ্য ছিল ১৫০ কিলোমিটারের কাজ। হয়েছে ৩৫.৪২৩ কিলোমিটার। বীরভূমের লক্ষ্য ৭৫ কিলোমিটার কাজ। হয়েছে ৯ কিলোমিটার। পুরুলিয়া ১৫০ কিলোমিটার কাজ হয়েছে ২৩ কিলোমিটার। পূর্ব বর্ধমানের টার্গেট ছিল ৯৫ কিলোমিটার। কাজ হয়েছে ১৫.৬৭ কিলোমিটার।