ওয়েব ডেস্ক: নদী এখন নালা। আসানসোলের গাড়ুই নদী চুরি করে হয়েছে একের পর এক বাড়ি, দোকান, খাটাল। গতিপথ হারিয়ে নদী এখন কানা। ভাসাচ্ছে শহর। একটু বৃষ্টি হলেই থইথই করছে রেলপার, স্টেশন চত্ত্বর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘাটালে যেমনটা হয়। সামান্য বৃষ্টি, জল থইথই ঘটাল।  অবস্থানগত কারণেই ঘাটালেই এই দশা। আসানসোলের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই গাড়ুই নদির পার বরাবর রেল পার এলাকা জলভাসি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন ম্যান মেড বিপর্যয়। 


আসানসোল পুরসভা থেকে কর্পোরেশন হয়েছে।সেটাও বহুদিন হল। আসানসোল এখন জেলা সদর। শিল্পাঞ্চল, কয়লাঞ্চল আসানসোলের মাটির দর বড় বেশি। লুঠ হচ্ছে জমি। চুরি হয়ে যাচ্ছে নদী। জিটি রোড আর বাইপাস রোডের মাঝ দিয়ে রেল লাইনের প্রায় পাশ দিয়ে গেছে গাড়ুই নদী। আর এই গাড়ুই- বাইপাসের ধার দিয়ে রেল পারকে সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবিয়ে দিচ্ছে। কারণ সেই নদী চুরি। গোটা গাড়ুই নদীটাই চুরি হয়ে গেছে। যে পেরেছে বাড়ি তৈরি করেছে। ছোটখাটো নির্মাণের পাশাপাশি বহুতলও রয়েছে।


আর বাইপাসের অন্য দিক দিয়ে আসছে  নুনিয়া নদী। দুই নদী মিলছে কল্ল্যার কাছে। নুনিয়ায় জল বাড়লে গাড়ুইয়ে ব্যাক ফ্লো হয়, যেটা আরও মারত্মক। আর যদি গাড়ুই-এর স্রোত খুব বেশি থাকে তখন গাড়ুই-নুনিয়া মিলে ডোবায় ঘাঘরবুড়ি চত্বর এবং প্রতিক্ষেত্রেই সেই নদী চুরি। কিন্তু পুরসভা করছেটা কী? আদতে করার অনেক কিছু থাকলেও করে না কেউই। তাই প্রতি বৃষ্টিতেই ভাসে রেলপার।