নিজস্ব প্রতিবেদন : মোদী সরকারের লক্ষ্য ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সেই মর্মে কড়া ফরমান জারি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশ, ১০০ দিনের কাজ হোক বা অন্য যে কোনও প্রকল্প হোক, যাঁরাই কাজ করবেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কাজের মজুরি সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। আর প্রত্যেকের ক্ষেত্রে তাঁদের আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। বেশকিছু ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক কার্ডও বাধ্যতামূলক। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, এসসি-এসটির জন্য আবেদন, যে কোনও স্কলারশিপের জন্য আবেদন, এখন সবই করতে হয় অনলাইনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু গ্ৰামের মানুষের কাছে এত কম্পিউটার কোথায়? কজনের বাড়িতেই বা আছে কম্পিউটার? আর কজন কম্পিউটার ব্যবহারই বা করতে পারে? এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল রাজ্য সরকার। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গ্ৰামের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের হাতের নাগালে কম্পিউটার আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় তাঁদের বাড়িতে কম্পিউটার নেই, কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের বেশ খানিকটা দূরত্ব যেতে হয়। প্রয়োজনীয় কাজ সারতে একটা কম্পিউটারের জন্য হয়তো বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার যেতে হল।



সমীক্ষায় এই রিপোর্ট আসার পরই উদ্যোগী রাজ্য সরকার। হাতের নাগালে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা পৌঁছে দিতে গ্ৰামে গ্ৰামে এবার সাইবার কেন্দ্র খুলবে রাজ্য। যেখানে থাকবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও প্রিন্টার। সামান্য টাকার বিনিময়েই এই কেন্দ্রগুলিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে। এখন কোন কাজের জন্য কত টাকা নেওয়া হবে? তা ঠিক করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথমে ৩০০০টা এরকম সাইবার কেন্দ্র খোলা হবে। পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন দফতরের অধীনে এই কেন্দ্রগুলি খোলা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সহায়তায় সেই কেন্দ্রগুলি চলবে।


আরও পড়ুন, চলন্ত গাড়িতে মদ্যপান, জন্মদিন পালন, হুল্লোড়! নিউটাউনে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ যুবকের মৃত্যু


আরও পড়ুন, ২০ টাকায় ফুলচার্জ! বুলবুল বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জে জেনারেটর বসিয়ে চলছে মোবাইল চার্জের ব্যবসা


ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে এই বিষয়ে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে সেই রিপোর্ট তৈরি করবে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ৬০০০ জন কম্পিউটার প্রশিক্ষিত লোক নেবে। তাঁদের বেতন ঠিক করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের যুবক -যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলেও আশাবাদী সরকার।