‘বাংলার ১৫ শতাংশও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত নয়, তাও সামলাতে পারল না রাজ্য!’
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রেল আর কেন্দ্র যত এগোচ্ছে, মমতার সরকার তত পিছিয়ে যাচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোই নেই। ত্রাণ ও উদ্ধারের ব্যর্থ সরকার। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন
# আমফানের ৬ দিন পরেও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অবস্থায় সরকারের অপারগতা প্রমাণিত।
# জল নেই, আলো নেই। আমি পুরকর্মী ও বিদ্যুৎ কর্মীদের বাহবা দিচ্ছি। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য।
# ব্যর্থতার কারণ সরকারের উদ্যোগে অভাব।
# আমফান মোকাবিলায় রাজ্যের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। বেসরকারি পরিকাঠামোর সাহায্য নিন। সেনার সাহায্য নিন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।
# সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, যেখানে জল পৌঁছায়নি অবিলম্বে বিনামূল্যে জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
# আমরা বলেছিলাম ত্রাণ চুরি হয়ে যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর রেগে যান। তারপর নিজেই বলছেন মানুষকে সরাসরি টাকা দিতে হবে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যাবে না। নিজেদের পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপর তার ভরসা নেই।
# করোনা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুমাসের বিদ্যুৎ নিখরচায় ব্যবস্থা করতে হবে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। ব্যয়ভার সরকার নেবে।
# মানুষকে বলব যে ১০০০ কোটি টাকা আসছে কেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষ যেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেন।
আরও পড়ুন-পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদীকে নিয়ে কু-মন্তব্য, আফ্রিদিকে একহাত নিলেন তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ
# পশ্চিম বাংলার ১৫ শতাংশ জায়গাও আমফানের জন্য প্রভাবিত হয়নি। তারপরেও আপনারা সামলাতে পারলেন না!
# CESC বাম আমলে জন্মেছে বলে ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। তাহলে তো তৃণমূলও সেই আমলে জন্মেছে। তাহলে নাটের গুরু আপনারাই।
# CESC-কে দোষারোপ করলেই তো চলবে না। গ্রামবাংলার দিকে কী হচ্ছে? সেখানে তো সরকার বিদ্যুৎ দেয়। সেখানে তো এক মাসেও ফিরবে না বিদ্যুৎ।
# প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ডাল এসে পড়ে আছে গোডাউনে। বিলি হচ্ছে না কেন? জবাব কে দেবেন? খাদ্যমন্ত্রী না মুখ্যমন্ত্রী?
# এই মাস থেকে আগামী মাস পুরো, দলের সমস্ত কার্যকর্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে যাবেন আর বোঝাবেন যে মোদীজি ৬ বছরে কী কাজ করেছেন আর মমতার সরকার ৯ বছরে কী কাজ করেছে।
# পাবলিক মিটিং বন্ধ বলে বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও কনফারেন্সিং করে ১০০০-১৫০০ লোকের সভা করা হবে।
# পুলিশ সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাহলে আইন শৃঙ্খলা কোথায় গেছে ভাবুন।
# ২৬ তারিখ অবধি ট্রেন যেন না আসে বলেছিলেন। আজ ২৬ তারিখ এখন যখন ট্রেন আসা শুরু হচ্ছে রাজি সরকার চিৎকার করেছেন।
# মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বলেছিলেন আমি আছি অসুবিধে নেই। ভাষণ দিয়েছিলেন। যেই রেল চালু করে দিলে তাদের ঘরে ফেরানোর কাজ তৎক্ষণাৎ তিনি পাল্টি খেলেন।
আরও পড়ুন-জুলাই থেকে স্কুল খোলার প্রস্তাব কেন্দ্রের, তবে শুধুই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য
# পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রেল আর কেন্দ্র যত এগোচ্ছে, মমতার সরকার তত পিছিয়ে যাচ্ছে।
# রাজ্য যদি নিয়ম মানে তাহলে ট্রেনে বা প্লেনে কে আসছে আর কে যাচ্ছে সেটা কোনো সমস্যা হতে পারে না। তারা কোয়ারান্টিন করছে না, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে না। তাই ট্রেনে রোগী আসছে বলে চেঁচামিচি করছে। যে ট্রেন আসছে তার ডিটেইল রাজ্যের কাছে আগাম পৌঁছে যাচ্ছে।
# বিজেপির কেউ এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে আটকাচ্ছে। অথচ কংগ্রেস সিপিএমের কেউ গেলে আটকানো হচ্ছে না। কং বাম আর তৃণমূল এক হয়েছে বিজেপিকে আটকাতে।