North Bengal Flood: উত্তরবঙ্গের বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি ভুটানকেই দায়ী করল বাংলা...
North Bengal Flood Situation: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গের বন্যা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ গেলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ একটি বিশেষ দল। সেচমন্ত্রী বলেন, মানুষের অভাব-অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা নিচ্ছি, সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবে। তবে ভুটানের সঙ্গে আলোচনা কেন হচ্ছে না, সেটায় সবার আগে জোর দেওয়া জরুরি।
নারায়ণ সিংহরায়: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গের বন্যা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ গেলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ একটি বিশেষ দল। মন্ত্রীর পাশাপাশি কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দুষ্মন্ত্য নারীওয়ালা ও সেচ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মীনা। আজ, সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে সোজা জলপাইগুড়ি জেলার গাজলডোবার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দলটি। সেখানে রাজগঞ্জ ব্লকের হদুগছ এলাকায় যান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বিগত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষার কারণে কালভার্ট ভেঙে রাজগঞ্জ ব্লকের হদুগছ ও যাত্রাপাড়ার মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ। সেখানকার পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী ও তাঁর দল।
আরও পড়ুন: Malbazar: বুনো হাতির পাল ভেঙে তছনছ করল কয়েকশো সেগুন গাছ...
দেখা যায়, জল অনেকটাই নেমে গিয়ে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। হদুগছ থেকে গাজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সেখান থেকে সোজা চলে আসেন উত্তরকন্যায়। সেখানে পাঁচ জেলার জেলাশাসক ও পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেচমন্ত্রী। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলার জেলা প্রশাসন-সহ সেচ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক সারেন মন্ত্রী। সেখান থেকে আলিপুরদুয়ারে উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
উত্তরবঙ্গের এই বন্যা-পরিস্থিতির জন্য মূলত ভুটানকেই দায়ী করেন মন্ত্রী। অভিযোগ, কোনও প্রকার তথ্য বা যোগাযোগ ছাড়াই জল ছাড়ছে ভুটান। যার ফলে এই পরিস্থিতি। ভুটানের জল ছাড়ার ফলে ডুয়ার্সের রায়ডাক, সঙ্কোশ, বাসরা, কালজানি , জয়ন্তী, তোর্সা নদীতে জল বাড়ছে। যার ফলে এই বন্যা-পরিস্থিতি।
পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে সেচমন্ত্রী জানান, ৮ তারিখ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে, জলপাইগুড়ি-সহ দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাঁদের পাঠানো হয়েছে। সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে একাধিক জায়গায়। কোচবিহারের ৪৮টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। আলিপুরদুয়ারে ১৩টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। সেগুলির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ভুটানের জল মূলত আলিপুরদুয়ারের উপরই এসে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। ভুটান না জানিয়েই জল ছাড়ছে। এটা তো আর রাজ্যের বিষয় না যে, রাজ্য সমাধান করবে। আর ভুটানও কোনও তথ্য দিচ্ছে না। আগে থেকে জানলে পদক্ষেপ করা যায়। হঠাৎ করে হড়পা বান এসে গেলে কে কী করবে?
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের দরিদ্র চাষি পরিবারের ছেলে আজ চন্দ্রযানে...
সেচমন্ত্রী বলেন, মালবাজার থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা বৃষ্টি মাপার জন্য মেশিন বসাচ্ছেন। তবে বানারহাট ও জলপাইগুড়ি খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। চাষবাসে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নিয়ে দফতর ইতিমধ্যেই কাজ করছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ জেলাশাসকদের কাছে আছে। বেশিরভাগ মানুষই জলমগ্ন এলাকার বাইরে চলে এসেছেন। আর জলমগ্ন এলাকায় জল কমছেও।
সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, মানুষের অভাব-অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা নিচ্ছি, সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবে। তবে ভুটানের সঙ্গে আলোচনা কেন হচ্ছে না, সেটায় জোর দেওয়া জরুরি।