নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। এখন এখানে আর শ্রম দিবস নষ্ট হয় না, দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ লগ্নির জন্য আদর্শ গন্তব্য। সোমবার লন্ডনে শিল্পপতিদের এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানুয়ারি মাসেই কলকাতায় হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন। তার আগে লন্ডনে একঝাঁক শিল্পপতিদের সামনে রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা সম্পর্কে জোরাল সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকালে তিনি ভারত-ব্রিটেন বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী, স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান লর্ড ডেভিস। এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন, পিডাব্লুসি, ব্রিটিশ টেলিকমের মতো শিল্প সংস্থার ১৫-১৬ জন প্রতিনিধি।



মুখ্যমন্ত্রী এদিন শিল্পপতিদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, শিল্প স্থাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামো ‌যথেষ্ট উন্নত। জমি রয়েছে, বিদ্যু‌তের অভাব নেই, দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। সর্বপরি আগের মতো শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ হল উত্তরপূর্ব ভারত সহ ভুটান, বাংলাদেশ, নেপালের প্রবেশদ্বার। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের মতো দেশ রাজ্য থেকে মাত্র ২-৩ ঘণ্টার পথ। ফলে পশ্চিমবঙ্গ লগ্নির জন্য আদর্শ জায়গা। বলা ‌যেতে পারে একেবারে ইতিবাচক সুরেই শুরু শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক। রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ও।


এদিন সন্ধ্যায় শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে ‌যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মিত্তালের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক তাঁর কথা হয়। স্টেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনা করার সময় থেকে লক্ষ্মী মিত্তালের সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক। বিশ্বের ষাটজন ধনীর তালিকায় রয়েছেন এখন আর্সেলর-মিত্তালের মালিক লক্ষমী মিত্তাল। এবার হয়তো তাঁকে বিনিয়োগকারী হিসেবেও দেখতে পারে বাংলা। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মিত্তলকে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফল আপাতত শেষ। তাঁর পরবর্তি গন্তব্য স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ। 


আরও পড়ুন-‘অসুস্থতা’র জন্যই রানি রাসমণির সভায় গরহাজির, ‘সাফাই’ শুভ্রাংশু শিবিরের