নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষবার যোগাযোগ হয়েছিল সেই এপ্রিল। তারপর বার বার ফোন করেছেন পরিবারের লোকেরা, কিন্তু মেয়ের সঙ্গে আর কথা হয়নি। দেরাদুনের মুসৌরির পাহাড়ি খাদ থেকে উদ্ধার হল দুর্গাপুরের তরুণীর পোড়া কঙ্কাল! খুনের অভিযোগে মৃতের বন্ধু অঙ্কিত চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়। বাবা ইসিএলের পদস্থ আধিকারিক। সেই সুবাদেই দুর্গাপুরের অণ্ডালে ছোঁড়া কোলিয়ারি এলাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিবেদিতার। দিদি অন্তরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে দিল্লিতে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর রুশ ভাষা শিখে দোভাষী ও অনুবাদকের চাকরি দেরাদুন চলে যান গত বছর। অন্তরার আক্ষেপ, 'অঙ্কিতের সঙ্গে ভালোবাসা সম্পর্ক, ওদের একসঙ্গে থাকা-সবকিছুই আমরা জানতাম। দিওয়ালিতে অঙ্কিতের বাড়ি থেকে বোন ভিডিও কলও করেছে। ছেলেটা এতবড় ক্ষতি করে দেবে, বুঝিনি'।


আরও পড়ুন: দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ, শেষপর্যন্ত ঘর খুলে উদ্ধার মা-মেয়ের পচাগলা দেহ


জানা গিয়েছে,  ২৮ এপ্রিল নিবেদিতার সঙ্গে শেষবার কথা হয় তাঁর মায়ের। এরপর যতবারই ফোন করেছেন পরিবারের লোকেরা, ততবারই ফোন ধরেছেন ওই তরুণীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এক পরিচিত যুবক। ১৫ জুন ছিল নিবেদিতার জন্মদিন। সেদিনের পরেই বিপদের আঁচ পান বাড়ির লোকেরা। দিদি অন্তরা জানিয়েছেন, জন্মদিনে এক তুতো বোনের প্রোফাইল থেকে নিবেদিতাকে ম্যাসেজ করেছিলেন তিনি। এরপর সেই বোনকে সরাসরি ফোন করে অঙ্কিত। সে জানায়, ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন নিবেদিতা!



আর দেরি করেননি, সড়কপথে দেরাদুনে পৌঁছে যান পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত উত্তরাখণ্ড পুলিসের সাহায্যে মুসৌরির কাছে কিমারির পাহাড়ের খাদ থেকে উদ্ধার হয় মেয়ের পোড়া কঙ্কাল! কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? পরিবারের লোকেদের অনুমান, ঝগড়ার হওয়ার পর প্রথমে নিবেদিতা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেয় অঙ্কিত। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পেট্রল ঢেলে দেহটি জ্বালিয়ে ফেলে দেওয়া হয় পাহাড়ের খাদে। শুধু তাই নয়, দেহ খাদে ফেলার সময়ে নাকি অঙ্কিতের এক বন্ধু ও বাবাও নাকি সেখানে ছিল! তাদের খুঁজছে উত্তরাখণ্ড পুলিস।


আরও পড়ুন:মেদিনীপুরে সরকারি হোম থেকে ফের পালাল ৩ আবাসিক


শনিবার সাহারনপুর থেকে মৃতের লিভ-ইন পার্টনার অঙ্কিত চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সাহারনপুরেরই বাসিন্দা বছর একত্রিশের ওই যুবক দেরাদুনে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসা করত। জেরায় অপরাধ স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত।