নিজস্ব প্রতিবেদন: চলে গেলেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়। অসুস্থতায় ভুগছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। গত বুধবার রাত্রে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। এইচডিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয়। এ দিন রাত ১০.৫০ মিনিট নাগাদ তার মৃত্যু হয়।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জন্ম বাংলাদেশের পাবনার বাগমারা গ্রামে। তাঁর প্রথম উপন্যাস যযাতি। ১৯৭৯ সাল থেকে দীর্ঘ এক দশক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদনা করেন দেবেশ রায়। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত সাড়া ফেলে দেয় সাহিত্য মহলে। ১৯৯০ সালে এই উপন্যাসটির জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন।


জন্ম বাংলাদেশে হলেও বড় হয়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে। রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর ট্রেড ইউনিয়নের দক্ষ নেতা হয়ে ওঠা। প্রত্যন্ত মানুষের সঙ্গে নিজেকে উজার করে মিশতেন বলেই দাঙ্গার প্রতিবেদন, খরার প্রতিবেদন, শিল্পায়নের প্রতিবেদনের মতো ক্ষুরধার লেখা পাঠকের মনকে ছুঁয়ে যেত। তিনি নিজেকে বলতেন, “আমি জলপাইগুড়ির ছেলে। বলতে পারো উত্তরবঙ্গেরও। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য, পার্টির নেতা...মন খারাপ করার সময় আমার ছিল না।”


আরও পড়ুন- নাইকু খতম! এবার এই দশ জঙ্গি নেতার নামে বুলেট বরাদ্দ করে রেখেছে ভারতীয় সেনা


দেবেশ রায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হলো মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬). মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), লগন গান্ধার (১৯৯৫)। এক সাক্ষাত্কারে দেবেশ রায় বলেছিলেন, সময়াভাবও তাঁর নেই, ব্যস্ততাও নেই...সব কিছুর জন্য সময় আছে। হ্যাঁ, সময় আছে। আজ নেই শুধু সাহিত্যিক দেবেশ রায়।