Bhangar Clash: উত্তপ্ত ভাঙড়, নওশাদকে গ্রেফতার না করলে গোলমাল হবেই, হুঁশিয়ারি আরাবুলের
ভাঙড়ে হাতিশালা এলাকায় সংঘর্ষের জেরে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। ওই গোলমালের প্রতিবাদে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ
দেবারতি ঘোষ: তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে ভাঙড়ের হাতিশালায়। ধর্মতলা থেকে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি হুমকি দিচ্ছেন, তাদের সমর্থকদের উপরে হামলার জন্য আরাবুলকে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে আইএসএফ কী জিনিস তা বুঝতে পারবে কলকাতা। অন্যদিকে, তার এলাকা হাতিশালায় ওই গোলমালের জেরে একপ্রকার প্রেস্টিজে পড়ে গিয়েছেন আরাবুল। ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের হুমকি, যারা ওই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করতে হবে। নইলে এই গোলমাল চলবে। কেউ এসে মেরে যাবে আর আমরা কালো চশমা পরে বসে থাকব এটা হতে পারে না।
আরও পড়ুন-ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে বোমাবৃষ্টির ঘটনা
উল্লেখ্য, ভাঙড়ে হাতিশালা এলাকায় সংঘর্ষের জেরে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। ওই গোলমালের প্রতিবাদে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। তবে বিকেল সাড়ে চারটের পর হাতিশালায় তৃণমূলের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ভাঙড়ে ঢোকার দুটি রাস্তা। একটি ভোজেরহাট হয়ে। অন্যটি হাতিশালা মোড় হয়ে। যারা কলকাতা থেকে ভাঙড় যাবেন তাদের ওই দুটি দিক দিয়েই যেতে হবে। আজ যে গোলমাল হয়েছে তা কাইজার আহমেদ ও আরাবুলকে কাছে এনে দিয়েছে। আরাবুল বেশকিছুক্ষণ হাতিশালায় ছিলেন। অন্যদিকে, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কাইজারও। তিনি বলেন, অতর্কিতে আমাদের দলের নেতা, সমর্থক, পার্টি অফিসে আক্রমণ হয়েছে। এখন আমরা আর বসে তাকার বান্দা নই। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই লড়াই কীভাবে করতে হয়।
আইএসএফের অভিযোগ, তৃণমূল তাদের উপরে চড়াও হয়। এর অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি হামলা করতাম বা তৈরি থাকতাম তাহলে নওশাদ সিদ্দিকি কলকাতার মিটিংয়ে যেতে পারত? তার সঙ্গে যত সমর্থকই থাক না কেন। ২০০৬ সালে এখান থেকে জিতেছি। সিপিএমের লাল সন্ত্রাসের সময়। সেই জায়গা থেকে এখন আণরা যথেষ্টই ভালো জায়গায় রয়েছি। আমরা যদি মনে করি আইএসএফ ভাঙড়ে বের হতে পারবে না।
আরাবুল আরও বলেন, কয়েকদিন আগেই নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, ভাঙড়ে একটা বুথের কর্মী ছেড়ে দিলে তৃণমূলের কেউ আর থাকবে না। ওকে বলতে চাই, ভাঙড়ের লোক নিয়ে এসে একবার কিছু করে দেখাক। আমরা লড়াই জানি, মার খেতে পারি, মার খেতে পারি। গন্ডগোল হতেই থাকবে। থামার মতো জায়গায় নেই। ওরা আমাদের মেরে যাবে আর আমরা কালো চশমা পরে ঘুরে বেড়াব? নওশাদকে গ্রেফতার না করলে এই প্রতিবাদ চলবে। আমাদের কাছে বোমা-গুলি নেই। হাত দিয়েই মার চলবে।
অন্যদিকে, কাইজার আহমেদ বলেন, সকালে একটা গন্ডগোল হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমাদের চমকানো হয়েছে। এসবে আমরা ভয় পাই না। এই গন্ডগোল নওশাদ শুরু করেছে। ওকেই এক শেষ করতে হবে। নওশাদ দাঁডি়য়ে থেকে গোলমাল পাকিয়েছে। রাস্তা সচল রেখে আমরা প্রতিবাদ করছি। প্রশাসনের কাছে এফআইআর করেছি। যদি কোনও ব্যবস্থা না হয় তাহলে কী ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা জানি।
এদিকে, এরকম পরিস্থিতিতে চাপ গিয়ে পড়েছে পুলিসের উপরে। কলকাতা থেকে পুলিসের বিশেষ বাহিনী হাতিশালায় এসে পৌঁছে গিয়েছে। সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, সকালের সংঘর্ষে পুলিসের সামনেই হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত অবরোধ তুলে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।