১ জুলাই দিঘার সমুদ্রে ইলিশ ধরতে পাড়ি দেবে `ভাসানি`
যতক্ষণ না বেরোতে পারছে ততদিন রাজ্যের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে দিঘার বড়ো মাপের সুস্বাদু অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে রুপোলি ইলিশ মেলা ভার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিঘা থেকে সমুদ্রে ১৫ জুন ইলিশ ধরতে যাওয়া স্থগিত হয়েছে। ট্রলার মালিকের একাংশ ,গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে আগামী ১জুলাই সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রলার মালিক ও মৎসজীবীরা।
দিঘা এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম মৎস আরোহণ কেন্দ্র। আর অধিকাংশই এখান থেকে সবচেয়ে বড় ও উন্নত প্রযুক্তির ট্রলার ও "ভাসানি" নামক লঞ্চ গভীর সমুদ্রে বড় মাপের ইলিশ ধরতে পাড়ি দেয়। প্রায় ১০০-১২০ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র গভীরে ঢুকে ইলিশ ধরে আনতে সক্ষম এই সব ভাসানি বা ট্রলার। কার্যত এই ধরনের ট্রলার ও ভাসানি। নানা টানাপোড়েনে আটকে পড়েছে। যতক্ষণ না বেরোতে পারছে ততদিন রাজ্যের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে দিঘার বড়ো মাপের সুস্বাদু অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে রুপোলি ইলিশ মেলা ভার।
এইধরনের ট্রলার বা ভাসানি দিঘা এলাকায় প্রায় দেড় হাজার রয়েছে। ফি বছর গড়ে প্রতিদিন ৫০-৭০ টন ইলিশ আমদানি করে। গত দু-বছর আশানুরূপ ইলিশ জোটেনি। এছর লকডাউন, আমফান সব মিলিয়ে জাল সারানো থেকে ট্রলার মেরামতিতে গুছিয়ে উঠতে পারেনি।
এর ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দরও।গত সাতদিনে প্রায় ৬৫ টাকা থেকে প্রায় ৬ টাকা মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। যার কারণে নতুন করে বিপন্নের পথে মৎসজীবী ট্রলার মালিকদের জীবনজীবিকা। জ্বালানি তেলের ভর্তুকির দাবিতে সোচ্চারও হয়েছেন ট্রলার মালিকরা।
ডিসি কমব্যাটকে নিগ্রহকাণ্ড, পুলিস ট্রেনিং স্কুল থেকে বদলি আরও ২৫ জন
সম্প্রতি করোনা আবোহে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিয়ে ট্রলার মালিক সংগঠনগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা গেলেও ডিজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সকলে এক মত হয়েছে। তারা চাইছে ৩০শতাংশ সাবসিটি দেওয়া হোক ডিজেলে।কারণ প্রতিটি ট্রলারে একবার ফিসিং এর জন্য দেড় থেকে দু-লক্ষ টাকার ডিজেল প্রয়োজন হয়।তাই ডিজেল একটা বড় ফ্যাক্টর।