নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন বনমন্ত্রী। শুক্রবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ পত্র পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কাছে। পদত্যাগ পত্র গিয়েছে রাজ্যপালকেও। তবে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও ডোমজুড়ের বিধায়ক পদেই রয়েছেন তিনি। দলের প্রাথমিক সদস্য পদও ছাড়েননি তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছেছেন রাজীবন বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে তিনি প্রকাশ্য সভায় একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা প্রবাহ চলছিল বহুদিন ধরেই। নির্বাচনের মুখে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি শহরে মোদী আসার ঠিক আগের দিনেই এমন একটা ঘটনা রাজনৈতিক মহলে একাধিক জল্পনার রসদ জুগিয়েছে। কিছুদিন আগেই ফেসবুক লাইভে দলের বিরুদ্ধে সরব হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন 'ধৈর্যচ্যুত হইনি, কিছুটা হলেও মানুষের পাশ থেকে সরে গেছে দল।' 


আরও পড়ুন:  পার্টি অফিস, ফ্লেক্সে আগুন, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটা


উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকালে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁর। কিন্তু সেই বৈঠক এড়িয়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rajib Banerjee)। এরপর বিকেলেও এলেন না ক্যাবিনেট বৈঠকে। সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক এড়াতেই পরের বিকালের ক্যাবিনেট বৈঠকে তাঁর যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ওঠে। শেষমেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত-ই রইলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rajib Banerjee)। যদিও ১৩ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করেন। গতকালও মমতার ক্যাবিনেট বেঠকে যাননি রাজীব। 


রাজীবের ইস্তফার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তাঁর ইস্তফায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, 'বিজেপির দরজা বহুদিন ধরেই খুলে রেখেছি। তাঁকে স্বাগতও জানানো হয়েছে। বিজেপিতে এলে বিজেপি লাভবান হবে।' জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, ' এটা তাঁর ব্য়ক্তিগত সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের আভ্যন্তরীন বিষয়। পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করেন সেটার দিকেই আমরা এবং মানুষ তাকিয়ে।'


রাজীব বন্দ্যোপাধ্যা দীর্ঘদিন মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ফেসবুক লাইভে যা বলেছেন সেটাও দলের বিরুদ্ধে গেছে। যে কথাগুলো মন্ত্রিসভায় বলার সেগুলো সেখানে না বলে ফেসবুক লাইফে বলে ফেললেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে দলকে ব্যবস্থা নিতে হত, তার আগে উনি পদত্যাগ করেছেন ভালই হয়েছে। বনের মন্ত্রী ছিলেন বনে কাজ না করে শহরে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন উনার চলে যাওয়াতে দলে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই মন্তব্য সৌগত রায়ের।