নিজস্ব প্রতিবেদন:   বীজপুরের নাবালিকা দম্পতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য। মৃত্যু না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বান্ধবীর সঙ্গে মেলামেশায় আপত্তি ছিল গৃহবধূর স্বামীর।  স্কুলে যেতেও বাধা দেওয়া রিনিকাকে। রিনিকাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বোঝাত তার বন্ধু নন্দিনী। পাড়াপড়শীর দাবি, খোলা মনে তা মেনে নিতে পারেনি রিনিকার শ্বশুরবাড়ি। সেই থেকেই কি চরম পরিণতি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাতভর মদ্যপান, বাইকে বন্ধুকে বাড়ির পৌঁছে ফেরার পথেই স্ট্যান্ড রোডে দুর্ঘটনা


মঙ্গলবার বীজপুরের এক বাড়ি থেকে বছর আঠেরোর অনিমেষ বিশ্বাস ও চোদ্দো বছরে রিনিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রেম করেই এবছরের সরস্বতী পুজো দিন তারা বিয়ে করে। নবম শ্রেণির ছাত্রী রিনিকা নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও এই বিয়ে তার পরিবার মেনে নেয়। কিন্তু ছেলের এত তাড়াতাড়ি বিয়ে মেনে নিতে পারেনি অনিমেষের পরিবার। গতকালের ঘটনার পর রিনিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মনে করেছিল, কোনওভাবে এই ঘটনার নেপথ্যে অনিমষের পরিবার জড়িত। কিন্তু তদন্ত এগোতেই উঠে এল অন্য তথ্য।  


আরও পড়ুন:  ঘর থেকে উদ্ধার সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, অনার কিলিং? দানা বাঁধছে রহস্য


বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই অনিমেষ ও রিনিকার মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। রিনিকার খুব বেশি বাইরে যাতায়াত, স্কুলে যাওয়া, বান্ধবীদের সঙ্গে মেলামেশা মেনে নিতে পারেনি অনিমেষ। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়াও হয় বেশ কয়েকবার।


রিনিকার এক বান্ধবী নন্দিনী তাকে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিত। সেজন্য নন্দিনীর সঙ্গে রিনিকার মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিলে অনিমেষ। এই সব কিছু ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি রিনিকা। সেক্ষেত্রে কি দুজনই আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি নাবালিকা গৃহবধূকে খুন করে তার স্বামী আত্মঘাতী হয়েছে, সেই উত্তর এখনও হাতড়াচ্ছে পুলিস।