মেয়ের অনুরোধে মায়ের দেহ বাড়ি পৌঁছে দিল বাইক অ্যাম্বুলেন্স চালক পদ্মশ্রী প্রাপক করিমুল হক
কিন্তু করোনার ভয়ে কেউ যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে করিমুল সাহেবের কাজে যান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মালবাজার মহকুমার রাজাডাঙা ধলাবাড়ির পদ্মশ্রী করিমুল হক ওরফে বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা।
সোমবার সকালে এক মহিলা ক্রান্তি দক্ষিন খালপাড়া থেকে ছুটে যান করিমুলের বাড়িতে। আনন্দপুর গ্রাম থেকে ওই মহিলার মা তাঁর বাড়িতে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর মা গনেশ্বরি রায়ের। মায়ের মৃতদেহ আনন্দপুর গ্রামে নিয়ে আসার জন্য অনেক গাড়ির চালককে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু করোনার ভয়ে কেউ যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে করিমুল সাহেবের কাজে যান।
সব কিছু শুনে করিমুল হক বাইক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ক্রান্তি দক্ষিন খালপাড়া থেকে গনেশ্বরি রায়ের মৃতদেহ রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দপুর গ্রামে পৌছে দেন। বাইক অ্যাম্বুলেন্সে করেই মৃতদেহ নিয়ে আসেন করিমুল হক।
আরও পড়ুন: মৃত মায়ের কোলেই জাপটে কাতরাচ্ছে ক্ষতবিক্ষত ৩ বছরের শিশু, পাশেই রক্তাক্ত বাবার লাশ
মৃতার পরিবারের লোকেরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা জানান করিমুল হক সাহেবকে। তিনি বলেন, "এই কাজ করতে পেরে খুশি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এরকম কাজ করে যাব। মানুষ নিজের বিবেলকে জাগ্রত করুক এটাই আমি চাই।"