ওয়েব ডেস্ক : একদিকে প্রশাসনিক চাপ, অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপ। এই দুই সাঁড়াশি চাপে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা। কখনও লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে, আবার কখনও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়বাসীর স্বার্থে সামনে থেকে এখন মোর্চাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের অন্যতম কান্ডারি বিনয় তামাং। মোর্চায় বিভাজনের ছবিটাও ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও স্বেচ্ছায় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ইতিমধ্যেই বিমল গুরুংয়ের রোষের শিকার হয়েছেন বিনয়। দল থেকে বহিষ্কারও হতে হয়েছে তাঁকে ও অনীক থাপাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, ১২ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় দ্বিতীয় দফায় সর্বদল বৈঠকে বিমল গুরুংয়ে পরিবর্তে, রাজ্যের তরফে ডাক পেয়েছেন বিনয়পন্থীরা। ফলে, চাপ আরও বেড়েছে গুরুংপন্থীদের ওপর।


আরও পড়ুন- রবিবার পাহাড়ে গৌতম দেব ও অনীক থাপার জোড়া শান্তি মিছিল


কোণঠাসা গুরুংপন্থীদের এবার ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় কী? বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিমল-রোশনদের আর কোনও উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে এবার সম্মানজনক অবস্থান নিতে ময়দানে নেমেছেন গুরুংপন্থীরা। কিন্তু কী সেই অবস্থান?


১২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে তাঁরা যোগ দিতে চান। রবিবার সেই আবেদন নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি নিয়ে সরাসরি হাজির হলেন মোর্চার ২ বিধায়ক। গুরুংপন্থী নেতা তথা কার্শিয়াঙের বিধায়ক রোহিত শর্মা ও দার্জিলিঙের বিধায়ক অমর রাই সেই চিঠি দিয়ে উত্তরকন্যার বৈঠকে থাকার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসাবে চান, পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকুক।


গুরুংপন্থীদের এই অবস্থান নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিনয়পন্থীরা। গুরুংপন্থীরা এখন যেন-তেন প্রকারে ১২ তারিখের বৈঠকে থাকতে চাইছেন। যদিও, সরকার তা চাইছে না মোটেই। নবান্ন সূত্রে খবর, উত্তরকন্যার বৈঠকে বিনয়পন্থীদের ডাকা হলেও গুরুংপন্থীদের ডাক পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।