নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের স্মৃতি পুরোপুরি কাটেনি।  তার মধ্যেই এবার ইয়াস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড় আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। তৎপর রাজ্য প্রশাসন। এর মধ্যেই ঘর সামলাচ্ছে বীরভূম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বীরভূম জেলাতেও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা৷ জেলায় আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছে৷ রয়েছে স্থায়ী বিপর্যয় মোকাবিলা শিবির। বিপর্যস্ত মানুষদের দ্রুত এই শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগের বছরের আমফানের (amphan) কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন, গাছ পড়লে তা সরাবার জন্য দ্রুত টিম পাঠানো হবে। বিদুৎবিভ্রাট কাটাতেও বিশেষ টিম গঠন করেছে৷ 


আরও পড়ুন: Yaas-এর আতঙ্কে ট্রেনও বেঁধে ফেলা হল শিকলে!


ইতিমধ্যেই ঝড় মোকাবিলায় বীরভূমের তিন মহকুমা এলাকায় তৈরি করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল-- 03462255572। এই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ থাকবে কলকাতা কন্ট্রোল রুমের৷ এছাড়াও,  জেলার সমস্ত পৌরসভা ও গ্রামীণ এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে।  



শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ মে জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। Yaas সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার বেগে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবেশ করলেও স্থলভাগে এসে এর গতি অনেক কম হয়ে যাবে৷  দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যখন ঝড় প্রবেশ করবে তখন ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঢুকবে৷ ২৬-২৭ তারিখে দিনভর বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শহর এলাকায় পৌরসভার সমস্ত কমিউনিটি হলগুলিকে দুঃস্থ মানুষদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আজ, সোমবার বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরে ঝড় মোকাবিলা নিয়ে একটি বৈঠকও করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর মহকুমা শাসক মানস হালদার ও পৌর প্রশাসক পর্ণা ঘোষ। এছাড়াও, ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকেরাও৷ 


বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় জানান,  বীরভূমে ২৮১টি আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছে৷ এছাড়াও ৬টি স্থায়ী বিপর্যয় মোকাবিলা শিবির রয়েছে। বিপর্যস্ত মানুষদের দ্রুত এই শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ 


আরও পড়ুন: Yaas-এ ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ চাষিদের; কত জমিতে কত টাকা, হিসেব দিল রাজ্য