নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘চড়াম চড়াম’ করে ঢাক বাজানোর কথা আগেই বলেছিলেন। এবার অনুব্রত  মণ্ডলের নয়া ‘টোটকা’ সাদা-নীল খোল করতাল। জেলার কীর্তন শিল্পীদের মধ্যে  বিলি করার জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৬০০০ হাজার খোলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একে লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা বলে দাবি করলেও, বিজেপি এতে রাজনীতির গন্ধ-ই খুঁজে পাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাতে দুজনে একসঙ্গেই খাবার খায়, তারপর সকাল হতেই ঘরের মধ্যে চোখে পড়ল এদৃশ্য


কখনও হিন্দু সম্মেলন, কখনও সংখ্যালঘু সম্মেলন, আবার কখনও আদিবাসী সম্মেলন করে চমকে দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল।  আর এবার তাঁর নজরে নাম সংকীর্তন। বীরভূম জেলা তৃণমূলের তরফে জানা গেছে,  জেলার সর্বত্র সংকীর্তনের দলগুলিকে খোল ও করতাল বিলি করা হবে। সেজন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ হাজার খোল এবং করতালের অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে। আর সেই খোলের রঙ হবে সাদা-নীল।



আরও পড়ুন, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল স্ত্রী, মেয়ের জন্য ফিরিয়ে আনার পরই চরম পরিণতি স্বামীর  


সম্প্রতি বোলপুরে জেলা তৃনমূলের মিটিংয়ে সমস্ত ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়, জেলার সমস্ত কীর্তনের দলগুলির নাম জোগাড় করতে। তারপরই কীর্তনের দলগুলির মধ্যে খোল-করতাল বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের দাবি, কীর্তন শিল্পীরা সেভাবে কোনও সাহায্য পান  না।  সেই কারণে কীর্তন শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন, হাসপাতাল কর্মীর ছদ্মবেশে হাতসাফাই, সরকারি হাসপাতালে ছিনতাইরাজ


যদিও,  এতে রাজনীতির খেলা দেখছে বিজেপি। স্থানীয়  বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডলের দাবি, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে তৃণমূল। আর সেই কারমেই লোকসভা ভোটের আগে এভাবে হিন্দুত্ববাদী মনোভাব উসকে দিয়ে ভোটের ময়দানে ফায়দা লুঠতে চাইছেন অনুব্রত মন্ডল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অবশ্য এবিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি।  খুব শিগগিরই খোল করতালগুলি বিলি করা হবে  বলে জানান তিনি।