Cooch Behar Biriyani Shop: বিরিয়ানি খেয়ে কমছে পুরুষত্ব! বন্ধ করা হল দোকান, কী সাফাই পুর চেয়ারম্যানের?
কোচবিহার শহরে ২৫-৩০টি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। তাদের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। তবে যারা রাস্তা আটকে দোকান করেছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে
দেবজ্যোতি কাহালি: সম্প্রতি কোচবিহার পুরসভায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ২টি বিরিয়ানির দোকান। অভিযোগ ছিল মারাত্মক। সংবাদমাধ্য়মে খবর, ওই দুই দোকানের বিরিয়ানিতে যে মশলা ব্যবহার করা হয় তাতে নাকি পুরুষত্ব কমে যাচ্ছে। এমনই এক জল্পনা ছিল এলাকার মানুষের মধ্যে। সেই গুজবের উপরে ভিত্তি করেই নাকি ওই দুটি দোকান বন্ধ করে দেন পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এমনটাই অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। এনিয়ে খবরও হয়েছে একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে। কিন্তু ওই দুটি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে আসল রহস্য কী? খোসলা করলেন পুর চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন-আমাদের ‘ঋষি’ যিনি, বিলেতের গদিতে তিনি! সত্যি?
কয়েকদিন আগে কোচবিহার শহরের পাওয়ার হাউস চৌপট্টি এলাকায় অভিযান চালায় কোচবিহার পুরসভা। ওই অভিযানে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ওই এলাকার দুটি দোকান বন্ধ করে দেন পুর আধিকারিকরা। কিন্তু তার পেছনে কি ওই পুরুষত্ব কমে যাওয়ার গল্পা! রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শহরে বহু বিরিয়ানির দোকান চলছে। তাদের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু ওই দুটি দোকান ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছিল। দোকান দুটিতে কিছু যুবক মদের আসর জমাতো বলেও খবর ছিল। এনিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু দোকানদার পুরকর্মীদের সঙ্গে তীব্র বচসা শুরু করে দেন। শেষপর্যন্ত দোকান দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে দখলদারিতে শহরের রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষের মধ্যে একটা জল্পনা ছিল, ওই দোকানগুলিকে এমনকিছু মশলা ব্য়বহার করা হয় যা পুরুষত্ব কমিয়ে গিচ্ছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কোচবিহার শহরে ২৫-৩০টি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। তাদের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। তবে যারা রাস্তা আটকে দোকান করেছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে। অনেকে কোনও লাইসেন্স না নিয়েই ব্যবসা শুরু করেছে। সব দোকানের খাবার পরীক্ষা করা হবে।