নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলেরই এক শিক্ষক। বিশ্বজিত্ রায় নামে ওই শিক্ষকের দাবি, "দিনের পর দিন ধরেই এই কুকীর্তি করে আসছিলেন ওই প্রধানশিক্ষক। কিন্তু ওঁর পদের ভয়েই কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বজিত রায় নামে ওই শিক্ষক ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ইতিহাস ও ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ১০টার সময় স্কুলেরই একটি ঘরে বসে প্রশ্নপত্র সলভ করাচ্ছিলেন প্রধানশিক্ষক। স্কুলের অন্য শিক্ষকদের দিয়ে উত্তর লেখানো হচ্ছিল। এমনকি স্কুলের এক ভুগোল শিক্ষিকার কাছেও প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় বলে দাবি বিশ্বজিতবাবুর।


আরও পড়ুন, লোপাট করা হয়েছে উত্তরপত্রও, আরও বিস্ফোরক অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে


তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়েই প্রশ্নপত্র সলভ করানো হত। তারপর সেই উত্তরপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হত স্কুলের ফার্স্টবয়ের কাছে। তাঁর আরও দাবি, "সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত হলেই ফরেন্সিক রিপোর্টে সব ধরা পড়বে।" একইসঙ্গে জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও যাদবপুরে ৩টি বাড়ি-ফ্ল্যাট রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে ২টি গাড়ি। এসবই তাঁর 'কুকীর্তি' টাকায় করা বলে দাবি বিশ্বজিত রায়ের।


আরও পড়ুন, 'নকল' ১০০ টাকার নোট! বেরল এটিএম থেকে


তবে সবকিছু জেনেও এতদিন কেন মুখ তিনি খোলেননি, বিশ্বজিত রায় এই প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, হরিদয়াল রায় শাসকদলের শিক্ষাসেলের সভাপতি। ওঁর পদের ভয়েই এতদিন কেউ মুখ খোলেননি। মুখ খুলতে ভয় পেতেন সবাই। শুনুন কী বলছেন, ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিত রায়...



যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সাফ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে, কোনওরকম কোনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাল্টা খারিজ করে দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক বিশ্বনাথ ভৌমিক।