নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র অভিযুক্তের সঙ্গে চুক্তি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার এমন অভিযোগ করল রাজ্য বিজেপি। এদিন রাজ্য বিজেপির দফতরে জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত কৌশিক করকে গ্রেফতার করেছে সে রাজ্যের পুলিস। পশ্চিমবঙ্গে ছাপাখানা রয়েছে তাঁর। রাজ্যে তিন বছরের জন্য জয়েন্টের প্রশ্নপত্র ছাপানোর বরাত পেয়েছে কৌশিকবাবুর সংস্থা।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশের UPPSC পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে বারাণসী থেকে কৌশিক করকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিস। প্রশ্নপত্র ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েছিল কৌশিকের ছাপাখানা। কলকাতাতেই ছাপা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র। কিন্তু পরীক্ষার আগে হিন্দি ও সমাজবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। জেরায় কৌশিক স্বীকার করেন, প্রশ্নপত্র ছাপানোর বরাত পেতে ইউপিপিএসসি-র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অঞ্জুলতা কাটিয়ারকে ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর অঞ্জুলাতে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের তদন্তকারী দল। এই ঘটনাতেই নয়া মোড় এনেছে বিজেপির অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কৌশিক করের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দহরম-মহরম রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ঘনঘন যাতায়াত ছিল তাঁর। 



বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ''কাকতালীয়ভাবে সারদার সঙ্গে কৌশিক করের উত্থান হয়েছে। সেই ২০০৯ সালে। তখন ইউপিএ সরকারে অংশ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৌশিক কর ও তাঁর মাসি আরতি মিত্রের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে। হেন তৃণমূল নেতা নেই যাঁদের তাঁদের সখ্যতা নেই! সল্টেলেকে বড় কোম্পানি শ্রী গুরু প্রিন্টারও রয়েছে''। 


সারা ভারতে প্রশ্নপত্র ফাঁসে কৌশিক কর জড়িত বলে অভিযোগ জয়প্রকাশের। অথচ এমন অভিযুক্তকে রাজ্যে জয়েন্টের প্রশ্নপত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। জয়প্রকাশের কথায়,''কৌশিকের বিরুদ্ধে এরাজ্যে অভিযোগ উঠলেও পুলিস ব্যবস্থা নেয়নি। বিধাননগরে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ অগাস্ট। উত্তরপ্রদেশ ও বিধাননগর দক্ষিণ পুলিস থানায় একই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অথচ এদের সঙ্গে চুক্তি করল জয়েন্ট এন্ট্রাস ওয়েস্ট বেঙ্গল। পরপর তিনবছর প্রশ্নপত্র ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েছে কৌশিক করের সংস্থা। কীভাবে চুক্তি হল? পার্থবাবুর অফিসে কেন ঘন ঘন দেখা যেত কৌশিক করকে? কী যোগাযোগ ছিল? ''


আরও পড়ুন- শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভয়ডরহীন দুষ্কৃতীরা, এতটা সহজ হল কীভাবে? আতঙ্কিত ঊষসী