মৃত্যুঞ্জয় দাস: ভোট প্রচারে পাত্রসায়রে বিজেপি প্রার্থীর পথসভার সামনেই বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে ধুন্ধুমার, একে অপরকে চোর স্লোগান। দুই দলকে শান্ত করতে বেগ পেতে হল পুলিস প্রশাসনকে। সৌমিত্র খাঁর হুঁশিয়ার তৃণমূলকে, পাল্টা হুঁশিয়ারি তৃণমূলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ডে বিজেপির একটি পথসভা ছিল। যে পথসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ সহ বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক।


পথসভা শুরু হতেই ২০ মিটারের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মী সমর্থকদের দেখে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতির নেতৃত্বে কয়েক তৃণমূল কর্মী সমর্থক চোর চোর স্লোগান, জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে।


আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আরও বিপদে চাকরিহারা শিক্ষক


এমনকি বিষ্ণুপুরের সাংসদ চোর এই ধরনের স্লোগানও দেওয়া হয়। পাল্টা পথসভা থেকে তৃণমূলকে বালি চোর, কয়লা চোর বলে স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি।


স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিজেপি তৃণমূল দুই দলেরই কর্মী সমর্থকরা। দুই দলের কর্মী সমর্থকদের সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পাত্রসায়র থানা পুলিসকে।


পাত্রসায়র থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দুই দলকে সামাল দিতে থাকে। বিজেপির কর্মসূচি শেষে কর্মী বিধায়করা বাড়ির পথে রওনা দিলে ফের তাদের চোর স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেও পুলিস কোনওমতে সামাল দেয় পরিস্থিতি।


পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘পাত্রসায়রে তৃণমূল চাইবে ঝামেলায় জড়াতে। তারা চাইবে ভোটে যাতে কোনও ইলেকশন এজেন্ট না থাকে’।


পাত্রসায়রের ওসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি আপনার ফোর্স নিয়ে আমাদের কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন কারন আমরা কোন অশান্তি চাই না। আমরা অশান্তি করলে তৃণমূলের জায়গা থাকবে না। রসুলপুরে এক নেতা বুঝতে পেরেছিল পাবলিক গণধোলাই কী’।


আরও পড়ুন: Malbazar: দক্ষিণ হাঁসখালি খেরবাড়ি ক্যাম্পে চা-বাগান এলাকায় ফের খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ...


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মারপিট করতে আসিনি আমরা মারপিট করব না তৃণমূলের ৫০টা ছেলে নাচানাচি করছে। করতে দিন, আমাদের পাঁচ হাজার লোকের মিছিলে ৫০ জনে কিছু এসে যায় না’। এমনকি পাত্রসায়বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করছে চার তারিখের পর সমস্ত নেতাদের কিভাবে ক্লোজ করা যায় কীভাবে ধ্বংস করা যায় তার ব্যবস্থা করব’।


পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, ‘আমাদের দলীয় একটা কর্মসূচি তফশিলির সংলাপ। গতকাল এই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। আজ সেই প্রচারের গাড়ি নিয়ে সেলিব্রেট করতে এসেছিল কর্মীরা। সেই সেলিব্রেশন চলছে আমাদের’।


সৌমিত্র খাঁকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর তৃণমূল কংগ্রেসের ছিল আমরা বুঝতে পারিনি সে ছিঁচকে চোর ছিল। যখন দল বুঝতে পেরেছে তখন সে ভেবেছে টিকিট পাবে না। তখন চোরে পরিণত হয়ে বিজেপিতে গিয়েছে। আবার চৌদ্দ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত ডাকাতে পরিণত হয়েছে। তাই মানুষ তাকে বলেছে চোর চোরটা বিষ্ণুপুরের এমপিটা’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)