নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে তুলকালাম শিলিগুড়ি। আন্দোলনকারীদের ওপরে পুলিসের লাঠি-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাশাপাশি পুলিসের মারে গজলডোবা থেকে আসা এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিল বিজেপি।  সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-CPIM, কংগ্রেস, BJP ৩ ভাই, রক্ষক-ভক্ষক-তক্ষক : Mamata Banerjee


এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতী বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ছুঁড়ে কৃত্তিম অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। পাশাপাশি পুলিস লাঠি-গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদেই আগামিকাল উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আশাকরি উত্তরবঙ্গের মানুষ ওই বনধ সফল করবেন। এই সরকার সামান্যতম বিরোধিতা সহ্য করতে পারে না।


সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে আঁটোসাঁট ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। জায়গায় জায়গার ব্যারিকেড তৈরি  করে বিজেপি কর্মীদের উত্তরকন্যায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বাধার সৃষ্টি করে শিলিগুড়িকে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত করেছিল পুলিস। এমনকি আমাদের রাজ্য সভাপতিকেও তাঁর গন্তব্য যেতে বাধা দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত তিনি হেঁটে নিজের জায়গায় পৌঁছন।


আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর


এদিকে, উত্তরকন্যা অভিযানে উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এনিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা উলেন রায়ের দেহ দেখেছি। ওঁর দেহে গুলির ছিটে রয়েছে। গোটা গা রক্তাক্ত। হাসপাতালে তাঁকে জীবন্ত নিয়ে আসা হয়েছিল কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখন প্রশ্ন পাখি মারার বন্দুকের গুলির মতো গুলির ছিটে উলের রায়ের দেহে এল কীভাবে। ময়না তদন্ত হলে তা স্পষ্ট হবে।