অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির কাছে যা টাকা আছে তাতে গোটা তৃণমূল দলটাকেই ইচ্ছা করলে কিনে ফেলতে পারি। কিন্তু আমরা কেনাবেচার রাজনীতি করি না। কেনাবেচার রাজনীতির কান্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সোমবার তৃণমূল নেত্রীর দল ভাঙানোর অভিযোগের এভাবেই জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


এদিন দিলীপবাবু বলেন, 'বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবা উচিত উনি নিজে কী করেছেন। ওনার গোটা দলটাই তো অন্য দল ভাঙিয়ে তৈরি। উনি আবার বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন কী করে।'


বলে রাখি, সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে। সোমবার তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে সেই কথাই অনুরণিত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। বলেন, 'সবার ফোন নিয়ে রেখে দিয়েছে গদ্দাররা। সবাইকে ফোন করছে। আর বলছে কত টাকা লাগবে?' বিজেপিকে 'চোর, ভুইফোঁড়'দের দল বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন ছোঁড়েন, 'এত  টাকা আসছে কোথা থেকে? ' তিন দাবি করেন, ট্রেনে করে এরাজ্যে টাকা আনছে বিজেপি। 


চিটফান্ড মামলায় তদন্ত করতে পারবে একমাত্র সিবিআই, নয়া আর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে যদিও বেশি দেরি করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুপুরে মুরলিধর সেন স্ট্রিটের দফতরে বসে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিজেপির যা টাকা আছে তাতে গোটা তৃণমূল দলটাকেই কিনে নিতে পারে। কিন্তু বেচাকেনার রাজনীতি আমরা করি না। ওসবের কান্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। গোটা তৃণমূল দলটাই তো অন্য দল ভাঙিয়ে তৈরি হয়েছে।'


বলে রাখি, সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন পরিচিত রাজনৈতিক মুখ। এর মধ্যে রয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। তৃণমূলের অভিযোগ, টাকা দিয়ে এদের দলে টেনেছে বিজেপি।