চিটফান্ড মামলায় তদন্ত করতে পারবে একমাত্র সিবিআই, নয়া আর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের

কেন্দ্রের এই আইনের ফলে রাজ্যের যে আইন ছিল তার আদৌ আর কোনও গুরুত্ব থাকছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

Updated By: Feb 25, 2019, 07:23 PM IST
চিটফান্ড মামলায় তদন্ত করতে পারবে একমাত্র সিবিআই, নয়া আর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত করার আর কোনও অধিকার থাকছে না রাজ্য সরকারের। এখন থেকে চিটফান্ড সংক্রান্ত যাবতীয়  মামলার তদন্ত করবে একমাত্র সিবিআই। ২১ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে একটি নতুন অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র।

কী থাকছে নতুন এই আইনে? একঝলকে দেখে নিন-

১) চিটফান্ড সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ শোনার জন্য নিযুক্ত হবেন সচিব পর্যায়ের এক বা একাধিক আধিকারিক।

২) কাশ্মীর ছাড়া  সারা দেশের যে কোনও জায়গা থেকে অভিযোগ এলেই এই কমিটি তদন্ত করবে।

৩) যে কোনও অভিযুক্তকেই সমন জারি করে ডেকে পাঠানো বা তাঁর ডকুমেন্ট যাচাই করার অধিকার থাকবে কমিটির।

৪) এতদিন বিভিন্ন চিট ফান্ড মামলায় অনেক সময় কোনও কোম্পানির কাছ থেকে লোন নিলে আগে সেই টাকা ফেরত দিতে হত। এক্ষেত্রে আমানতকারীকে টাকা ফেরত দেওয়াই হবে প্রথম এবং প্রধান কাজ।

আরও পড়ুন, নাম না করে মমতা বললেন, ফোন করছেন মুকুল রায়!

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি আইন এনেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল চিটফান্ড সংক্রান্ত তদন্তের জন্য রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু, নতুন অর্ডিন্যান্সে এসবের কোনও প্রয়োজন থাকছে না। আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত একমাত্র সিবিআই করতে পারবে।

পাশাপাশি, অর্থলগ্নি সংস্থার বিজ্ঞাপনেও থাকছে নয়া আইনে থাকছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। নতুন আইনে বলা হয়েছে, চিটফান্ডের বিজ্ঞাপন দেখে কেউ প্রতারিত হলে সেই সংবাদমাধ্যমকে নতুন করে বিজ্ঞাপন দিয়ে পুরনো ভুল শুধরে নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ ফ্রেবরুয়ারি লোকসভায় আইনটি পাস হলেও, রাজ্যসভায় বিল পাস হয়নি। আর তাই তারপরই অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন, ভয় পাচ্ছেন? দলের নেতা-মন্ত্রীদের প্রশ্ন মমতার

নয়া আইন প্রসঙ্গে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, "কেন্দ্রের এই আইনের ফলে রাজ্যের যে আইন ছিল তার আদৌ আর কোনও গুরুত্ব থাকছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।''  আইনজীবী মহল বলছে, তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর এই অর্ডিন্যান্সে স্পষ্ট নয়। তবে নতুন আইনকে ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে  সংঘাত যে বাঁধবে, তা বলাই বাহুল্য।

.