WB Panchayat Election 2023: ভোটের মুখে দলবদল করতেই গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য!
সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বোমাবাজি-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী তরণীকান্ত বর্মন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ার তাঁর বিরুদ্ধে জারি ছিল গ্রেফতার পরোয়ানাও।
দেবজ্য়োতি কাহালি: এবার টিকিট পাননি। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলবদল করতেই গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য! কেন? দফায় দফায় বৈঠকে চলল জেলা পার্টি অফিসে। আন্দোলনের পথে বিজেপি। রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে কোচবিহারে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম তরণীকান্ত বর্মন। দিনহাটার ২ নম্বর ব্লকের নাজিরহাটের ২৬ নম্বর আসনে এবার জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী তিনি। আগে তৃণমূল করতেন তরণীকান্ত। কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন। তাহলে কেন দলবদল? এবার পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি তরণীকান্ত। তখন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন পর্বে বিজেপিতে যোগ দেন শাসকদলের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য। নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে যিনি দলে এসেছেন, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি।
এদিকে ভোটের প্রচার শুরুর পর, তরণীকান্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। কবে? আজ, বুধবার রাতে। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বোমাবাজি-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত তিনি। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেকারণেই এই গ্রেফতারি।
এদিকে পুলিসের বক্তব্য মানতে অবশ্য নারাজ বিজেপি। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'তরণীকান্ত বর্মন ২৬ নম্বর জেলা পরিষদের আমাদের প্রার্থী। আমরা, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁকে প্রার্থী করেছি। ২৬ নম্বর আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভ করবে। সেজন্য যেনতেন প্রকারে তাকে আটকাতে হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী প্রথম বলেছিল, দিনহাটায় প্রাথী দিতে পারবে না! এখন যখন জয়লাভ করতে যাচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারছে না। পুলিসকে কাজ লাগিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, যাতে প্রচার না করতে পারে'।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: বিদেশ থেকে 'জালিয়াতি' করে মনোনয়ন, কমিশনের তদন্তে বিপাকে তৃণমূল প্রার্থী!
আর তৃণমূল? দলের নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের পাল্টা দাবি, 'তরণীকান্ত বর্মন আমাদের দলের জেলা পরিষদ সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে বিজেপি যোগ দিয়ে টিকিট নিয়েছেন। ২৬ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে। আমরা জানতে পারলাম, তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো বেশ কিছু মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। পুলিস যেমন সারাবছর সক্রিয় থাকে, নির্বাচনে সময়ে আরও বেশি সক্রিয়তা দেখায়। এটা স্বাভাবিক। সবার ক্ষেত্রেই। যাঁদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে। তরণীকান্ত বর্মনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। নতুন কিছু নয়'।