`হিন্দি সেল` করে বিভাজনের রাজনীতি খেলছে তৃণমূল, পাল্টা তোপ বিজেপির
হিন্দি ভাষায় গুরুত্ব দেওয়ার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন হিন্দি সেলের চেয়ারম্যান দীনেশ ত্রিবেদী
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের 'হিন্দি সেল' নিয়ে তোপ দাগল বিজেপি। গত ৯ বছরে হিন্দিভাষী মানুষদের জন্য কিছু করেননি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এক যোগে সুর চড়ালেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। আবার মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হয়নি, তার দায় রাজ্য সরকারেরই।
সোমবার সকালে হিন্দি ভাষা দিবস নিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দি শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং কল্যাণমূলক কাজে তাঁর সরকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ দিনই হিন্দি সেল গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। লক্ষ্য জেলায় জেলায় এই সেল গঠন করে হিন্দিভাষী মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো।
তৃণমূলের হিন্দি সেল প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিভাজন নীতির অংশ হিন্দি সেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাঙালি ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই খেলা খেলেছেন পাহাড়ে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, গত ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে রাজ্যের হিন্দিভাষী মানুষদের জন্য কিছু করেননি মমতা।
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আবার তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে একহাত নেন। দীনেশকে তৃণমূলের হিন্দি সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্জুনের কটাক্ষ, নিজের ক্ষমতায় কোনও দিন জিততে পারেননি। আমিই তাকে জিতিয়ে ছিলাম। এই এলাকা সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই। তাঁর নেতৃত্বে এই সেল ব্যর্থ হবে।
হিন্দি ভাষায় গুরুত্ব দেওয়ার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন হিন্দি সেলের চেয়ারম্যান দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি মনে করেন, বাংলা সংস্কৃতির মধ্যেই রয়েছে হিন্দি। বাংলা এবং হিন্দিতে পরের বছর JEE-NEET হওয়ার দাবি জানান তিনি। ওই সেলের সভাপতি বিবেক গুপ্ত জানিয়েছেন, ভাষায় কোনো রাজনৈতিক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য নেই । সব মানুষকে একসঙ্গে জুড়তেই এই সেলের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- পুজোয় এবার খোলা প্যান্ডেল, সাংবাদিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান, বাংলাকে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা নিয়ে সহমত পোষণ করেন দিলীপও। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্যই বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হয়নি।